মোঃ আরিফুর রহমান।।
বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১৬ শতাংশ চরভূমি। আর এসব চরভূমিতে রয়েছে কোটি মানুষের বসবাস। বাংলাদেশ নদী মাত্রিক দেশ তাই জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক নিয়মে এসব নদীর বুকে জেগে ওঠেছে অসংখ্য চর ।
এক সময় আমাদের দেশে চর নিয়ে চলত দখলবাজদের লড়াই। আর এসব চরে কোন ফসল ফলত না। কিন্ত এ চরাঞ্চলে এখন কেবলই আশার আলো। চরাঞ্চলে এখন দেখা যাচ্ছে সবুজের সমারোহ। চরাঞ্চলে আবাদকৃত কয়েকটি সবজির ফলনে আশাতীত সাফল্য পাওয়া গেছে। দেশের চরাঞ্চল নিয়ে এখন কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার তৈরি হয়েছে।
বালুচরে এখন ধান, পাট, পেঁয়াজ, মরিচ, কুমড়া, টমেটো ভুট্টা, গম, বাদামসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। কুড়িগ্রাম জেলায় চার শতাধিক চরে বাদামের চাষ হচ্ছে। চরাঞ্চলে গরু মহিষ পালনের খরচ অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক কম বলে গরু মহিষ পালনের জন্য আদর্শ জায়গায় ও পরিণত হচ্ছে বালুচর।
তিস্তার বালুচরে চাষীদের বিশেষ পদ্ধতিতে কুমড়া উৎপাদন বিশ্বখ্যাতি পেয়েছে। এ ছাড়া পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগির অসংখ্য খামার গড়ে উঠেছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন সবজি উৎপাদন চরের কৃষকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে। তবে চরের কৃষি ব্যবস্থাপনায় নানান ধরনের জটিলতা রয়েছে। চরের কৃষিসেবা ও ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকীকরণের মধ্যদিয়ে অধিকহারে খাদ্য উৎপাদনের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
কৃপ্র/এম ইসলাম