কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
দক্ষিণ- পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালিতে লবণাক্ত পতিত জমিতে রবি মৌসুমে সূর্যমুখী ও গম চাষে সফলতার সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকরা। পতিত জমিতে গম ও সূর্যমুখী চাষে কৃষকেরা বিঘা প্রতি ৬-৮ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন বলে গবেষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ অঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে লবণাক্ত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন। এরই ধারাবাহিকতায় দাকোপের পানখালিতে রোপা আমন ধান কাটার পর রবি মৌসুমে সূর্যমুখী ও গম চাষে সফল হয়েছেন এ ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. এনামুল কবীর এবং উপ-গবেষক সহকারী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র সরকার। দাকোপের পানখালিতে ১০ বিঘা (প্রায় ১.৫ হেক্টর) জমিতে দুটি গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অষ্ট্রেলিয়ার একটি সরকারি সংস্থা (অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্স (এসিআইএআর) এবং বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)-এর যৌথ অর্থায়নে খুবিসহ বাংলদেশ, ভারত ও অষ্ট্রেলিয়ার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানদুটি সমন্বিত গবেষণা প্রকল্পে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে উপ-গবেষকসহকারী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র সরকার বলেন, প্রথম প্রকল্পে আমরা নির্বাচন করার চেষ্টা করেছি যে, এখানে রবি মৌসূমের কোন কোন ফসল চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত এবং এ পরিবেশে টিকে থাকবে কি না। আমরা অনেকগুলো ফসল নিয়ে কাজ করেছি যেমন গম, সরিষা, সূর্যমুখী, ভুট্টা, মটর ইত্যাদি। এদের মধ্যে সূর্যমুখী ও গম (তিন বছর) সফলভাবে চাষ করা সম্ভব হয়েছে। এরপর সূর্যমুখী ও গম এর সার ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য চাষাবাদ কৌশল নিয়ে আমরা দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা, এর উপ-পরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার জানান, সূর্যমুখী এমন একটি ফসল যা এ লবণাক্ত অঞ্চলে হচ্ছে, এর ফুল ধারনের উপর দিনের দৈর্ঘ্যরে কোন প্রভাব নেই, মৌসুম এর কোন প্রভাব নেই, দেরিতে লাগালেও হচ্ছে। এর মুল মাটির গভীর থেকে খাদ্য গ্রহণ করে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না লাগালে ফুল ফুটবে না এমন কোন বিষয় নেই। এজন্য এটি বরি, খরিফ-১ এবং খরিফ-২ এ তিন মৌসুমেই করা যাবে তবে বরি মৌসুমে এর ফলন বেশী। এতে করে কৃষক এবং সর্বোপরি সরকার লাভবান হবে। কাজেই সূর্যমুখী এ অঞ্চলের জন্য একটি কার্যকরী ফসল বলে আমি মনে করি।
সুত্র, বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম