
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক: দিনাজপুর জেলায় গত বছরের তুলনায় এবার পাটের আবাদ বাড়লেও খাল-বিলে তেমন পানি না থাকায় পাট ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পাটচাষিরা। তাই বাধ্য হয়েই কেউ কেউ রিবন রেটিং পদ্ধতিতে কাঁচা পাট থেকেই আঁশ ছাড়িয়ে অল্প পানিতে ডুবিয়ে রাখছেন। এদিকে বাজারে দাম না থাকায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন পাটচাষিরা।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট এলাকার পাটচাষিরা জানান, পাট কাটার সময় পেরিয়ে যেতে শুরু করলেও খাল-বিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়ার জায়গা নেই।
এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে অবশেষে কাঁচা পাট কেটে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে মেশিন দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে, সেই আঁশ পানিতে ভিজিয়ে রেখেছেন।
চাষিরা জানান, গত বছর প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু এবার বাজারে সেই পাট বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। এ অবস্থায় অন্যান্য ফসল আবাদ করে লাভের মুখ দেখলেও পাট আবাদ করে এবার লোকসান গুনতে হবে বলে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ জানান, জুলাই মাস পাট কাটার প্রকৃত সময়। কিন্তু গত বছর জুলাই মাসে দিনাজপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৫৫৬ মিলিমিটার। আর এ বছর জুলাই মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৫৫০ মিলিমিটার। এ কারণে খাল-বিলে পানি না থাকায় পাটচাষিরা পাট কাটতে সমস্যায় পড়েছেন। এ অবস্থায় রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, গত বছর জেলায় ৩ হাজার ৯৩৬ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছিল। সে বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার পাটের আবাদ বাড়িয়ে দিয়েছে জেলার কৃষকরা। এ বছর দিনাজপুর জেলায় পাটের আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৪২৬ হেক্টর জমিতে। কিন্তু বাজারে এবার পাটের দাম তুলনামূলক কম থাকার কথা উল্লেখ করে প্রদীপ কুমার গুহ আশা প্রকাশ করে বলেন, লকডাউন শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পাটচাষিরা ন্যায্যমূল্য পাবেন।
সুত্র: ইত্তেফাক/এম ইসলাম