
কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট: বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল এলাকায় স্থানীয় কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ বিষমুক্ত কলার চাষ শুরু হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এনএটিপি ফেজ-২ প্রকল্পের আওতায় দেউলী ইউনিয়নের রহবল ব্লকে চাষ হচ্ছে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ বিষমুক্ত কলা।
কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শুরু করেছেন নিরাপদ বিষমুক্ত এ কলার চাষ। তিনি বলেন আগে আমরা কলাতে প্রচুর পরিমান কীটনাশকের ব্যবহার করতাম এখন ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষ করার ফলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছেনা। এতে কলার উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি বাজার চাহিদা লকডাউন বাড়ছে এবং অন্য কলার চেয়ে দামটাও অনেক বেশি পাওয়া যাবে। আমার বাগান দেখে অনেকেই এ পদ্ধতিতে কলা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
উপজেলার রহবল ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান জানান, কলার প্রধান শত্রু পোকা হলো বিটল পোকা। এরা কলার কচি পাতা ও মোচায় আক্রমণ করে। কলাগাছে থেকে যখন মোচা বের হতে থাকে তখনই মোচাগুলোতে বিটল পোকা আক্রমণ করে থাকে।
তিনি আরও জানান, বিটল পোকা তার কাঁটাযুক্ত পায়ে যখন অপরিপক্ক কলার ওপর হাঁটাহাঁটি করে এবং কচি কলার ছাল খায় তখন কলার গায়ে দাগ পড়ে যায়। দাগগুলো দেখতে অনেকটা বসন্ত রোগের দাগের মতো। কলা যখন বড় হতে থাকে দাগগুলোও সাথে সাথে বড় হতে থাকে। এ জন্য কলাগুলোকে দেখতে খুবই বিশ্রী দেখায়। ফলে বাজারে উপযুক্ত দাম পাওয়া যায় না। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে ওই বিটল পোকা আর আক্রমণ করতে পারে না। ফলে কীটনাশের প্রয়োজন হয় না। এতে একদিকে যেমন কলা উৎপাদনে কৃষকের খরচ কমে যায় অন্য দিকে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয়না। কলা থাকে নিরাপদ ও বিষমুক্ত।
কৃষি প্রতিক্ষণ/ এম ইসলাম