কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট :দেখতে ভেড়ার মতই তবে স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন ‘গাড়ল’। ভেড়ার চেয়ে আকারে বড় ও মাংসের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ব্যাপকভাবে গাড়ল পালন ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।
ভেড়ার চেয়ে গাড়ল আকারে প্রায় দ্বিগুণ। প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিটি গাড়ল থেকে ৩৫-৫০ কেজি মাংস পাওয়া যায়। দামও বেশি এবং খেতে সুস্বাদু। খাবার, আবাস ও পালন পদ্ধতি দেশীয় ভেড়ার মতই। এক কথায় ভেড়া পালনের জায়গা এখন গাড়লের দখলে।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় নানাভাবে গাড়ল পালনে সহায়তা ও উৎসাহিত করছে খামারিদের।
এদিকে দেশীয় ভেড়ার জাত উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন দেশের বেশ কয়েকটি খামার। ভারতীয় বড় জাতের ভেড়ার সাথে দেশীয় ভেড়ার ক্রস করে উন্নত জাতের ভেড়ার বাচ্চা উৎপাদন করছেন। এ জাতের ভেড়া দেশীয় ভেড়ার চেয়ে আকারে বড় এবং মাংস দ্বিগুণ হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছেন দেশীয় খামারিরা।
কয়েকজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানালেন, দেশে ভেড়ার উন্নত জাত তৈরির বিষয়ে কোনো গবেষণা কিংবা প্রকল্প নেই। তাই চাষিদের ভারতীয় বড় জাতের ভেড়ার সাথে দেশীয় ভেড়ার ক্রস করে উন্নত জাতের এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সারা দেশে গাড়ল জাত ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
পাশাপাশি জাত উন্নয়ন ও পালন বিষয়ে আগ্রহী খামারি কিংবা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গাড়ল সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে মাংসের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রানিসস্মদ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা আসবে।
সুত্র: কৃষি প্রতিক্ষণ/এম ইসলাম