কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চার মাস বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার, সংরক্ষণ ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে অলস সময় কাটানোর পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেখা দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন বংশবৃদ্ধি, মজুদ এবং ভারসাম্য রক্ষার্থে সব ধরনের মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ওপর গত ১ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। তবে হ্রদে মাছ শিকারের ওপর তিন মাস নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও এ বছর হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বাড়ায় সময় আরও এক মাস বাড়ানো হয়। এই নিষেধাজ্ঞা গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়।
এদিকে, কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বুধবার থেকে জেলেরা মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।রাতেই জেলেরা হ্রদে মাছ শিকার করে শহরের ফিরারি ল্যান্ডিং ঘাটে মাছ নিয়ে যেতে শুরু করেছেন।
বিএফডিসি রাঙামাটি সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদ থেকে বিএফডিসির অবতরণ কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮,৫৪৯ টন মাছ অবতরণ করা হয়েছিল। এ বছরও যদি গত মৌসুমের মতো মাত্রাতিরিক্ত মাছ আহরিত হয়, তাহলে মৌসুমের শেষের দিকে মাছ আহরণে ভাটা পড়তে পারে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন ও কার্প জাতীয় মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকে। তিনি আরও জানান, কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকারে এবার নতুন কিছু নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। জালের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ও ছিদ্র কতটুকু রাখ যাবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে পোনা মাছ রক্ষা করা যাবে।
৭২৫ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন প্রায় ২২ হাজার জেলে।
কৃষি প্রতিক্ষণ/ এম ইসলাম