কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শৈবাল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি মূল্যবান সামুদ্রিক সম্পদ। বিশ্বব্যাপী শৈবাল থেকে খাদ্যপণ্য, ঔষধিপণ্য, প্রসাধনী পণ্য, সার, বায়ো ফুয়েল ও পরিবেশ দূষণরোধক পণ্য উৎপাদন করছে। লবণাক্ত, আধা লবণাক্ত পানির পরিবেশে এটি জন্মে এবং সহজে চাষাবাদ করা যায়।
কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক শৈবাল চাষে অপার সাম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।শৈবাল চাষে ব্যাপক সফলতাও এসেছে। শৈবাল থেকে খাদ্যপণ্য, ঔষধি পণ্য, প্রসাধনী পণ্য, সার তৈরি হচ্ছে।
অন্যদিকে বর্তমানে শৈবাল থেকে স্যুপ, সবজি বার্গার, সিঙ্গারা, সমুচা, নুডুলস, সালাদ, চাটনী, পাকোড়া, নিমকি, চকলেট, জেলিসহ সাশ্রয়ী মূল্যের পুষ্টি সমৃদ্ধ মানব ও পশুখাদ্যসহ পোশাক শিল্প ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামালও উৎপাদিত হচ্ছে।
শৈবাল চাষ সরকারের সমুদ্র অর্থনীতির সবুজ ইকোনমিতে ভূমিকা রাখছে।বায়ো ফুয়েল ও পরিবেশ দূষণরোধক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে শৈবাল দিয়ে । লবণাক্ত, আধা লবণাক্ত পানিতে শৈবাল জন্মে এবং সহজেই এর চাষাবাদ করা যায়। শৈবাল জলজ এককোষী বা বহুকোষী জীব। শৈবাল
সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে। এদের দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত নয়। এরা বাতাসের নাইট্রোজেন গ্যাস সংবন্ধন করতে সক্ষম। এরা সবাত শ্বসন পদ্ধতিতে খাদ্যবস্তুর জারণ ঘটায়। পৃথিবীতে বহু প্রকার শৈবাল জন্মে থাকে। এদের কতক এককোষী ও কতক বহুকোষী। এরা মিঠা পানিতে এবং লোনা পানিতে জন্মাতে পারে। শৈবালের হাজার হাজার প্রজাতির মধ্যে আকার, আকৃতি, গঠনস্বভাবে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। আকার, আকৃতি ও গঠনে প্রচুর পার্থক্য থাকলেও এরা সবাই কতিপয় মৌলিক বৈশিষ্ট্য একই রকম। আর তাই, এরা শৈবাল ও শেওলা নামে পরিচিত। পৃথিবীতে নানা ধরনের শৈবাল রয়েছে। কিছু শৈবাল আছে যারা পাথরের গায়ে জন্মে এদেরকে লিথোফাইট বলে। কিছু শৈবাল আছে যারা টিস্যুর অভ্যন্তরে জন্য এদেরকে এন্ডোফাইট বলে এবং কিছু শৈবাল আছে যারা অন্য শৈবালের গায়ে জন্মে এদেরকে এপিফাইট বলা হয়। করা হয়।
২০১০ সালে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে পরীক্ষামূলকভাবে দুই প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল চাষ শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সাল থেকে কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলে শৈবাল চাষ শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সমন্বয়ে ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এ প্রকল্প চলছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সুত্র মতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক শৈবাল উৎপাদন করে থাকে। বাংলাদেশে ২০১৬ সাল থেকে ১০টি প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবালের উপর গবেষণা শুরু হয় গবেষণায় উৎপাদন, কৌশল, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্যবহারের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে।
এম ইসলাম