কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট এর পর এবার বাংলাদেশে উৎক্ষেপণ করবে কৃষি উন্নয়ন ভিত্তিক একটি ‘আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট। যা ভূপৃষ্ঠের ছবি তোলার মাধ্যমে দেশের ফসল উৎপাদনের চিত্র, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ বিশাল সমুদ্র অঞ্চল নজরদারিতে সহায়তা করবে। এক কথায় এটিকে কৃষি উন্নয়ন ভিত্তিক স্যাটেলাইট বলা যেতে পারে।
দ্বিতীয় এ স্যাটেলাইটের ধরন কেমন হবে, তা চূড়ান্তের পর খুব দ্রুত এটি নিয়ে কাজ শুরুর পরিকল্পনা চলছে। সরকারের চলতি মেয়াদেই দেশের দ্বিতীয় এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড- বিসিএসসিএল এর চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “খুব দ্রুত এ কাজ আমরা করতে চাচ্ছি। জিটুজি (সরকার-টু-সরকার) প্রক্রিয়ায় আমরা এ স্যাটেলাইট কেনা এবং উৎক্ষেপণে চিন্তাভাবনা করছি।”
আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলতে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠ নিরীক্ষণ করতে ব্যবহার করা হয়। দেশের প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ একটি ‘জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন’ স্যাটেলাইট শুধু যোগাযোগের কাজে লাগছে।
বিসিএসসিএল চেয়ারম্যান বলেন,দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ফ্রান্সের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইস-ওয়াটার হাউজ কুপারসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ঠিক করেছি দ্বিতীয় স্যাটেলাইট হবে ‘আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট’।
এ স্যাটেলাইট দিয়ে নানা সুবিধা পাওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন,এটি দেশের ফসল উৎপাদনের চিত্র, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ দেশের বিশাল সমুদ্র অঞ্চল নজরদারিতে সহায়তায় করবে।
তিনি আরও বলেন দেশের কাজের পাশাপাশি এ স্যাটেলাইট দিয়ে আয় করার সুযোগও থাকছে। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চল এ স্যাটেলাইটের আওতায় থাকবে বলে সেসব এলাকার নানা তথ্য উপাত্ত বিক্রি করে আয় করা যাবে। কারণ সব দেশের এই স্যাটেলাইট নেই।” জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ছাড়াও কমিউনিকেশন, রিমোট সেনসিং, নেভিগেশন, জিওসেনট্রিক অরবিট টাইপ, পোলার স্যাটেলাইটসহ নানা কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্যাটেলাইট রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ হয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী ৫৭তম দেশ।
তিনি বলেন,আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট এটির জন্য অরবিটাল স্লট ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি উপরে থাকবে না। স্লট ভাড়া নেওয়ার খরচটা বেঁচে যাবে। এটাকে লিইও বা লো আর্থ অরবিট স্যাটেলাইটও বলা হয়।
কৃষি প্রতিক্ষণ/ এম ইসলাম