নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আমন ধানের খেতে মাজরা ও পাতা মোড়া পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। পোকার আক্রমণ শুরু হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে এ বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ দাবি করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর কমলগঞ্জ উপজেলায় আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকেরা জমিতে প্রয়োজনীয় সারও প্রয়োগ করেছেন। এরই মধ্যে রোপিত আমন ধানে পাতা মোড়ানো ও মাজরা পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে।
শনিবার সরেজমিন উপজেলার পতনউষার, শমসেরনগর, আদমপুর ও মুন্সিবাজারসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমন ধানের গাছে মাজরা পোকার আক্রমণে পাতা ছিদ্র হয়ে হলুদ রং ধারণের পর পাতাগুলো বাদামি রং ধারণ করছে। কৃষকেরা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেও ফল পাচ্ছেন না বলে জানান। ফসলের মাঠজুড়ে এখন আমন ধানের গাছে শুধু পোকা।
কৃষক মাহমুদ মিয়া, সাজু মিয়া, নাজিম মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, ‘আর কিছুদিনের মধ্যে গাছে ধান আসার কথা। এ সময়ে শুরু হলো পোকার আক্রমণ। কীটনাশক প্রয়োগ করেও রক্ষা হচ্ছে না। তাই এবার আমনের ফলন নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের আশঙ্কা যথাসময়ে পোকার হাত থেকে ধান গাছকে রক্ষা করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ফলন হবে না।’
মুন্সিবাজার ইউনিয়নের রুপষপুর গ্রামের কৃষক মোজাহিদ, শামসুল হকসহ বেশ কয়েকজন কৃষকও জানান তাদের জমিতে পোকার আক্রমণের কথা। তারা বলেন, ‘আমনের চারা রোপণকালে পানির অভাব ছিল। এখন আবার পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এ পোকা ধান গাছের জন্য অনেক ক্ষতিকর। সিনসাইপার নামের কীটনাশক স্প্রে করেও এ পোকা দমন করা যাচ্ছে না। প্রতি এক বিঘা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগে ব্যয় হচ্ছে ৫০০ টাকা।’
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘এ সময়ে পোকার কিছুটা আক্রমণ হয়। পতনউষার ও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কিছু জমিতে এসব পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। তবে ব্যাপক আকারে হয়নি। আর মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার হাত থেকে আমন ধান রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, তিনি এ উপজেলায় এসেছেন মাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে। পোকার আক্রমণের কথা শুনে তিনি মাঠ পরিদর্শন করছেন বলে জানান।
এম ইসলাম