
সবজি-পুষ্টি বাগানে কৃষকের সাথে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান
কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্টঃ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বসতবাড়িতে সবজি-পুষ্টি বাগানে চাষাবাদের প্রতি দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এদিকে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পটি ব্যাপক সাড়া ফেলছে শিবগঞ্জ উপজেলায়।
আমাদের দেশে প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে কিন্তু কমছে চাষাআবাদের জমি। এ স্বল্প জমিকে ব্যবহার করে অধিক খাদ্য উৎপাদন এখন সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জ। অনাবাদি, পতিত ও বসতবাড়ির আঙ্গিনার অব্যবহৃত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি ও পারিবারিক খাদ্য-পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি অফিস শিবগঞ্জ, বগুড়া সূত্রে জানা যায়, অনাবাদী পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতাধীন পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০ টি করে পুষ্টি বাগান ১.৫ শতকের প্রদর্শনী আকারে স্থাপিত হবে। মুজিববর্ষে যেসব গৃহহীন বসতবাড়ি পেয়েছেন সেসব বাড়িতে প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
প্রকল্পটির আওতায় গ্রামীণ জনপদের বসতবাড়ির আঙিনা, পুকুর ও খালের পাড়, বাড়ির আশপাশ, স্যাঁতস্যাঁতে ছায়াযুক্ত স্থানে সবজি-মশলা চাষ হবে। এতে প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমির ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটানোর জন্য কৃষক পরিবারগুলোতে সবজি ও মশলার চাষাবাদ করা হবে। গড়ে উঠবে পুষ্টি বাগান। বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি হলুদ, মরিচ ও আদাসহ মশলা জাতীয় ফসলের চাষ হবে।
উপজেলার রহবল এলাকার কৃষক মোঃ জেলাল রহমান জানান, বসতবাড়ির পাশে যে স্বল্প পতিত জমি ছিলো সেখানে পুষ্টি বাগান স্থাপন করে ১০-১২ প্রকার সবজি চাষ করে পারিবারিক শাক-সবজির চাহিদা পূরন হচ্ছে। এখন আর বাজার থেকে তেমন শাক-সবজি কিনতে হয়না।
উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রতি ইঞ্চি পতিত জমির ব্যবহার নিশ্চত হবে। এ সব পতিত জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈব সারের ব্যবহার হবে। ফলে মাটিতে প্রচুর জৈব পদার্থ যুক্ত হবে। মাটির ক্ষয় কম হবে। মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকবে ও সংরক্ষণ হবে পরিবেশ। পারিবারিক আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে। মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হবে এবং সেই সাথে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
কৃষি প্রতিক্ষণ/ এম ইসলাম