১০৫ দিনেই ধান তুলতে পারবেন কৃষকরা!
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গামেহেরপুর জেলার কৃষকদের জন্য সুসংবাদ বয়েএ নেছে ব্রি ধান-৭৫। আমন ধানের আগাম জাতটির ফলন ১০৫ দিনেই আমন ধানে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।আর ফলন দেবে হেক্টরপ্রতি পাঁচ টনের বেশি এ ধান আবাদের পর গম, মসুর, সরিষা, ভুট্টা এবং অন্যান্য শীতকালীন ফসল চাষের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
জানা গেছে, ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত সিরিয়াল সিস্টেম ইনিশিয়েটিভ ফর সাউথ এশিয়া (সিএসআইএসএ ওওও) প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) সহযোগিতায় ঝিনাইদহ জেলার ফুলহরি গ্রামে কৃষক মো. লিয়াকত আলীর জমিতে এ মাঠ পরীক্ষা বাস্তবায়ন করেছে।
সিএসআইএসএ প্রকল্পের মাধ্যমে তিন বছর ধরে এ জাতের সম্প্রসারণ, বাজার উন্নয়ন, সংযোগ এবং ব্র্যান্ড সৃষ্টির জন্য কাজ করছে যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর জেলায় এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে জাতটি চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এ জাতের ধানের চাল আকারে লম্বা ও চিকন এছাড়া রান্নার সময় এবং পরে ধানটি থেকে হালকা ঘ্রাণ বের হয়।ধানটি লম্বা ও চিকন হওয়ার কারণে কৃষকরা এ জাতের ধান বেশি মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, এ জাতের উচ্চফলনশীলতার সম্ভাবনার পাশাপাশি চাষের স্বল্প মেয়াদকাল কৃষকদের জন্য একটি নতুন জাত চাষের দুয়ার খুলে দেবে।ফলে কৃষকরা তাড়াতাড়ি ফসল কেটে বেশি মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী রবিশস্য সময়মতো রোপণ করতে পারবেন।
পরীক্ষামূলক চাষকারী কৃষক মো. লিয়াকত আলীবলেন, আমাদের অঞ্চলে বোরো ও ভুট্টার আবাদের নির্ভরতা বেশি।তবে স্বল্পমেয়াদে আমন জাতের ধানের ফলন ও পরিচর্যার প্রক্রিয়া বেশ ভালো।এটি ধানের পাশাপাশি খড়ের উচ্চমূল্য পেতেও অনেক সাহায্য করছে।আবার ধানের দাম বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে আমাদের অঞ্চলের কৃষকরা ধানটির আবাদে আরো আগ্রহী হবেন।
জানা গেছে, প্রকল্প থেকে স্থানীয় বীজ কোম্পানিগুলোর সঙ্গেও কাজ করছে।কৃষকদের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যাতে এর বীজস্থানীয় পর্যায়ে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ব্রি’র রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমিনা খাতুন বলেন, ব্রি জাতটির সর্বোচ্চ ফলনের জন্য ২০ জুলাই থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে ধান বপনের সুপারিশ করে থাকে।
জাতটি অন্যান্য উচ্চফলনশীল দীর্ঘমেয়াদি জাতের তুলনায় আগাম উচ্চফলনদিতে পারে এবং আগাম পরিপক্বতার কারণে কৃষকরা সহজে এবং সময়মতোমসুর ডাল, সরিষা, ভুট্টা বা অন্যান্য উচ্চমূল্যের শীতকালীন ফসল চাষ করতে পারেন।
সুত্রঃ বনিকবার্তা / এম ইসলাম