এই ক্ষতি আমরা পোষাব কীভাবে?
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দেশের কৃষকদের রসুনের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিদেশ থেকে রসুন আমদানি বন্ধের দাবি জানালেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। রসুনের কাঙ্ক্ষিত দাম না মেলায় রসুন চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন দেশের কৃষকরা।
রসুনের দাম কমে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি ২০ হাজার টাকার মতো লোকসান গুনছেন নাটোরের কৃষকরা।
নাটোরে বিঘাপ্রতি রসুন উৎপাদন হয়েছে ২০ থেকে ২২ মণ। আর এতে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। বর্তমানে জেলায় প্রতিমণ রসুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায়। এ দামে উৎপাদিত রসুন ২০ হাজার টাকাতেও বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। ফলে বিঘাপ্রতি তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে ২০ হাজার টাকার মতো।
চলতি বছর রসুন উত্তোলনের সময় এপ্রিল ও মে মাসে প্রতিমণ রসুন ১ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তবে জুন থেকে আমদানি বাড়ায় বাজারে রসুনের দর কমতে থাকে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
এক কৃষক বলেন, দুই বিঘা জমিতে রসুন বুনেছি। গত বছর প্রতিমণ রসুন ১৭শ’-১৮শ’ টাকায় বিক্রি করেছি। এবার সেই রসুনের দাম সাতশ’-আটশ’ টাকা।
আরেক কৃষক বলেন, প্রতিকেজি রসুন উৎপাদনে আমাদের ৬০ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এখন সেটা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। এই ক্ষতি আমরা পোষাব কীভাবে?
অপর এক কৃষক বলেন, দুই লাখ টাকা খরচ করে এখন আমাদের ৫০ হাজার টাকাও উঠছে না। এমন চললেতো আর রসুন উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।
বিদেশি রসুনের দাম কম হওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দর কমছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় রসুন পাঠানো হলেও আশানুরূপ দাম পাচ্ছি না। এভাবে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, সারাদেশে রসুনের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন। আর চলতি বছর কেবল নাটোরেই উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন।
সুত্রঃ সময় সংবাদ / এম ইসলাম