কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ জেলায় কৃষকের আয় বাড়িয়েছে বিনা ধান ১৬ ও ১৭। মাত্র একশত পাঁচ দিনে ফলন পেয়ে, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কম সময়ে পাওয়া এ জাতের ধানের ফলন ও অন্যান্য জাতের ধানের মতই।
কৃষি অধিদপ্তর জানায়, এ ফসল আবাদ করলে, কৃষকের পাশাপাশি জাতীয় আয়ও বৃদ্ধি পাবে। আর চাষিরা করতে পারবে বছরে ৪ বার ফসলে উৎপাদন।
বাংলাদেশ পরোমাণু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট বিনার উদ্ভাবন, বিনা ১৬ ও ১৭ জাতের ধান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, কুমিল্লার কৃষকদের মাঝে। উচ্চ ফলনশীল এ ধান উদ্ভাবন করে, মাঠ পার্যায়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। বিনা ধান ১৬ এর জীবনকাল মাত্র ৯৫ থেকে ১০০ দিন। আর বিনা ১৭ এর জীবনকাল ১১৫ থেকে ১১৭ দিন। গড় ফলন প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৬ টন, অথবা প্রতি বিঘায় ২৭ মণ।
পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বাসসকে বলেন, একজন কৃষক যেন বছরজুড়ে ফলন পায় সে লক্ষ্যে, এ জাতটির উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ধানের ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। আগামীতেও এ ফসলই চাষ করবে বলে জানায় তারা।
এ ধান চাষে কৃষকের পাশাপাশি জাতীয় আয়ও বাড়বে। ইতোমধ্যে কৃষকরা এ ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিনা ১৬ ও ১৭ উদ্ভাবনের মাধ্যমে, দেশের কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।
সুত্রঃ বাসস / এম ইসলাম