কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহীর চারঘাটের ও বাঘা উপজেলা থেকে জাপানে হলুদ রপ্তানির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বিষয়টি গনমাধ্যম কে নিশ্চিত করেছেন বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে এরই মধ্যে জাপানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা নর্থ বেঙ্গল ফার্ম লিমিটেড ও বাংলাদেশ ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোশিয়েশনের মাধ্যমে হলুদ আমদানি করবে জাপান ।
‘বাঘা-আড়ানী অঞ্চলের হলুদ খুবই জনপ্রিয় এবং এর চাহিদাও ভালো। সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এ অঞ্চলে হলুদের বেশ ভালো চাষাবাদ হয়। বর্তমানে হলুদের উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে। এ অঞ্চলের হলুদ বিদেশে রপ্তানি হলে এর ব্যপ্তি আরও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে আম রপ্তানি করার অভিজ্ঞতা থাকলেও হলুদ রপ্তানির অভিজ্ঞতা নেই। তবুও আশা করছি, হলুদ রপ্তানিতে ভালো সাড়া পাবো। রপ্তানি শুরু হলে এ অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্য বদলের সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা।
বাঘা উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরে বাঘায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল আট হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। তবে এবছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন। বাঘায় গাঙ্গীয়া, সোনামুখী, ডিমলা বারি-১ জাতের হলুদ চাষ হয়। গাঙ্গীয়া জাতের হলুদের ভালো ফলন হয়। এই জাতের হলুদ আকারে মোটা এবং রঙ অন্যান্য হলুদের তুলনায় অনেকগুণে ভালো। প্রতি বিঘা জমিতে ৪৫ থেকে ৫০ মণ হলুদ উৎপন্ন হয়।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, আড়ানী এলাকার হলুদের বেশ সুনাম রয়েছে দেশব্যাপী। কারণ, উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বড়াল নদী। এ নদীর কারণে এই অঞ্চলের জমিতে বৃষ্টির পানি জমে না। আর এ কারণে হলুদের ফলনও বেশ ভাল হয়।
এম ইসলাম