কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : ধান চাষে লোকসান হওয়ায় ফসলি জমিতে মাছ চাষ করছেন শরীয়তপুরের কৃষকরা । ফলে আশঙ্কাজনক হারে কৃষি জমি কমছে শরীয়তপুরে। গেল কয়েক বছর ধরে ধান চাষে লোকসান হওয়ায় মাছ চাষে আগ্রহী হন কৃষকরা।
এ কারনে লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে পড়ছে জেলার খাদ্য উৎপাদন। এ অবস্থার জন্য ফসলি জমি রক্ষায় সুনির্দিষ্ট কোন আইন না থাকাকে দায়ী করছে প্রশাসন।
আর সরকারকে নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে সুশীল সমাজ। ফসলের জমিতে মাছ চাষের প্রচলন নতুন নয়। তবে শরিয়তপুরে বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। জেলার সর ও নড়িয়া উপজেলার প্রায় অধিকাংশ জমি দখলে নিয়েছে মাছ চাষ। ফলে কমছে জেলার খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ। জমির মালিকরা বলছেন, গেল কয়েক বছর ধান চাষে লোকসান হওয়ায় মাছ চাষে আগ্রহী হয়েছেন তারা লাভও পাচ্ছেন বেশ।
বিষয়টি স্বীকার করলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তাও। তবে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এই অবস্থায় কৃষি জমি রক্ষায় আইন প্রণয়ন জরুরি। সুনির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকায় মাছ চাষে বাধা দেয়ার কোনো সুসোগ নেই বলে জানালেন জেলা প্রশাসকও। আবাদি জমি রক্ষা করা না গেলে অচিরেই জেলার খাদ্য নিরাপত্তা, ঝুঁকির মুখে পড়বে এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।