কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির অধিকাংশ ক্যালরি, প্রোটিন ও মিনারেল আসে ভাত থেকে। অন্য পুষ্টিকর খাবার জোগাড় করতে না পারলেও দুই বা তিন বেলা ভাতের সংস্থান এখন প্রায় সবারই সামর্থ্যরে মধ্যে। তাই ভাতের মাধ্যমে কিভাবে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা হাইজিংক সমৃদ্ধ জাত ব্রি ধান-১০০ (বঙ্গবন্ধু ধান) অবমুক্ত করেছে। নতুন অনুমোদনকৃত ব্রি ধান১০০ তে জিংক এর পরিমাণ ২৫.৭ মি.গ্রাম/কেজি। এটি মানুষের শরীরে জিংকের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে তার ৩০-৬০% মিটাতে পারে। এ ধানের গড় জীবনকাল ১৪৮ দিন এবং ফলন ৭.৭ মেট্রিক টন/হেক্টর।
সেই ধারাবাহিকতায় বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় এবার প্রথম চাষ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ধান।
সরোজমিনে দেখা যায় উপজেলার রহবল এলাকার গোপালপুর গ্রামের কৃষক মোঃ রিপন মিয়া তৈরী করছে ব্রিধান-১০০ (বঙ্গবন্ধু ধানের) আদর্শ বীজতলা এবং তাকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ সাইফুর রহমান।
কৃষক মোঃ রিপন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ধানের নাম শুনেছি কিন্তু এত তাড়াতাড়ি এর চাষ করতে পারবো তা ভাবিনি। কৃষি অফিস থেকে আমাকে ১ একর প্রদর্শনী করার জন্য ১০ কেজি ধান দেয়া হয়েছে তার বীজতলা করতেছি। ধান দেখে ভালোই মনে হচ্ছে।
রহবল ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি এবং নতুন জাত সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে সরাসরি কাজ করে থাকি আমরা। সে লক্ষ্যে আমরা এবার নতুন জাত ব্রিধান-১০০ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণে কাজ শুরু করেছি। উচ্চ ফলনশীল এবং হাইজিংক সমৃদ্ধ এ ধান বোরো মৌসুমের মেগা জাত হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে আমরা আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আল মুজাহিদ সরকার বলেন, নতুন এ জাত সম্প্রসারণের জন্য সরাসরি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে সরবরাহকৃত কিছু “বঙ্গবন্ধু ধান” বীজ আমরা নিয়ে এসেছি এবং প্রদর্শনী আকারে বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে এর চাষাবাদ করা হবে। বীজের পরিমান বৃদ্ধি করে আগামী মৌসুমে এর উৎপাদন এলাকা আরও বেশী করতে আমরা কাজ করে যাবো।
এম ইসলাম