কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কুমিল্লা জেলায় টমেটোর ভালো ফলনে কৃষক পরিবারে হাসি ফুটেছে। ক্ষেত থেকে তুলে এনে কুমিল্লার অন্যতম বারোমাসি সবজি বাজার নিমসারে আনা হচ্ছে টনে টনে টমেটো। তিন প্রজাতির লাল টমেটো বিক্রিতে এবারে মুনাফাও পাচ্ছে টমেটো চাষিরা। এবারে কুমিল্লায় অনুকূল আবহাওয়া টমেটোর বাম্পার ফলন কৃষকদের জন্য আশির্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। কুমিল্লায় উৎপাদিত টমেটো এখানকার প্রায় ১৫ লাখ পরিবারের চাহিদা মেটানোর পরও রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করে থাকে।
কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, এবারে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে । ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে কুমিল্লার নিম্নাঞ্চলে উৎপাদিত টমেটো বাজারে সয়লাব হয়ে যাবে। বর্তমানে কুমিল্লা অঞ্চলের উঁচু জমিতে উৎপাদিত টমেটোতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে।
কুমিল্লার চান্দিনা, বরুড়া, দাউদকান্দি, হোমনা, বুড়িচং, ও দেবিদ্বারে উৎপাদিত টমেটো স্থান পেয়ে থাকে দেশের অন্যতম সবজি বাজার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের নিমসারে। অন্যদিকে কুমিল্লা সদরের পাঁচথুবি, আমড়াতলী, জগন্নাথপুর, দূর্গাপুর ইউনিয়নে এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে উৎপাদিত টমেটো কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজার ও চকবাজারের সবজি আড়তে স্থান পেয়ে থাকে। এখান থেকে নগরীর অন্যান্য বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা টমেটো পাইকারি দরে কিনে নিয়ে থাকেন। কুমিল্লার হাট-বাজারগুলো এখন টমেটোতে ঠাসা। বর্তমানে বাজারে বড়, মাঝারি ও ছোট আকারের প্রতি কেজি টমেটো খুচরা ৩৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে টমেটোর বাজার দর ছিল কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এবার টমেটোর বিক্রি দরও তুলনামূলক বেশি হওয়ায় টমেটো চষিরা খুশী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপপরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, কুমিল্লায় ১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা অনেক ছাড়িয়ে গেছে। কুমিল্লার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের নজরদারি ও উপজেলা পর্যায়ে চাষিদেরকে কৃষি কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ সবধরণের লজিষ্টিক সার্পোট দেওয়ায় এবারে লক্ষ্যমাত্রা অনেক ছাড়িয়ে গেছে। কুমিল্লা জেলায় বিভিন্ন উপজেলার চেয়ে চান্দিনায় সবচেয়ে বেশি টমেটো চাষ হয়ে থাকে। চান্দিনা উপজেলায় উঁচু ও নিচু জমিতে পৃথকভাবে দুইবার টমেটো চাষ হয়ে থাকে। কুমিল্লার চান্দিনার টমেটো চাষিরা জানান, সব মৌসুমেই চান্দিনায় ব্যাপক পরিমান সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। টমেটোর চাষ এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবছর টমেটোর ব্যাপক ফলন হয়েছে। টমেটো পাকার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নিয়ে আসতে হয়। কাঁচা মাল ঘরে রাখা যায় না। তাই সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগারের ব্যবস্থা করা হলে চাষিরা তাদের ফসলের ভালো দাম পাবেন। আর এজন্য তারা কৃষিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সুত্রঃ বাসস / এম ইসলাম