কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে ইউটিউব দেখে নারকেলের তুষ আর কেঁচো সার দিয়ে চারা উৎপাদন করে সফল হয়েছেন মিলাদ হোসেন নামে এক যুবক। তার দেখা দেখি কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে চারা গাছ উৎপাদন ও বাজারজাত করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে সুবর্ণচরের অনেক কৃষক ও তরুণ উদ্যোক্তারা।
সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের চর বজলুল করিম গ্রামের বেকার যুবক মিলাদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব দেখে ২০১৭ সালে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে চারা গাছ উৎপাদনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন। সামান্য পুঁজি নিয়ে মাত্র ২০টি ট্রেতে নারিকেলে তুষের সাথে কেঁচো সার মিশিয়ে চারা গাছ উৎপাদন করে প্রথম বছরেই সাফল্য অর্জন করেন। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। পরে স্থানীয় একটি এনজিওর সহায়তায় প্রশিক্ষণ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চারা গাছ উৎপাদন শুরু করেন।
বর্তমানে মিলাদ হোসেন নানা মৌসুমে নানা রকমের সবজি, ফলজ ও বনজ গাছের চারা গাছ উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন। তার নার্সারিতে একাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। মিলাদের দেখাদেখি সুবর্ণচরে অন্তত ১৫-২০ জন কৃষক কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করছেন। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মিলাদের নাসার্রি দেখতে এবং চারা ক্রয় করতে আসেন অনেকে। তরুণ উদ্যোক্তারা মিলাদকে দেখে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
মাটির তৈরী বীজতলার চেয়ে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা রোগ জীবানু মুক্ত এবং শক্তিশালী হয়। রোদে হেলে পড়েনা বলে এ চারা থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় ২০ দিন আগে এবং গতানুগতিকের চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়।
বর্তমানে মিলাদ হোসেন তার নার্সারিতে ১ হাজারের বেশি ট্রেতে প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার চারা গাছ উৎপাদন করছে। প্রতি শতাংশ জমিতে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনে খরচ মাত্র ৯-১০ হাজার হলেও বিক্রি হয় লক্ষাধিক টাকা।
মিলাদ হোসেন জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা পেলে আরো বৃহৎ আকারে চারা উৎপাদনের আগ্রহ রয়েছে তার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন- কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের ব্যাপারে আগ্রহীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে।
সুত্রঃ বাসস / এম ইসলাম