কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি আমন মৌসুমে
সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচিতে ১৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি হয়েছে।
৫ লাখ মেট্রিক টন চাল ও তিন লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার। প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা এবং প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা করে কেনা হবে।
অবিলম্বে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলায় সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা করতে বলা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭ অনুসারে ধান ও চাল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুক্তিযোগ্য যেসব মিল মালিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করবেন না অথবা চুক্তি সম্পাদন করে চাল সরবরাহ করবেন না-এমন মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বছর পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা অপেক্ষা বরাদ্দ কম।
সুতরাং জাতীয় পর্যায়ে চাল সংগ্রহ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৯০ শতাংশ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন করতে হবে।
খাদ্য গুদামে কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনোক্রমেই কৃষক হয়রানির শিকার না হয়। স্টেনসিল নিশ্চিত করতে হবে সংগৃহীত চালের বস্তায়।
সংগ্রহ কার্যক্রমে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সংগ্রহ ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সর্বদা সর্বোচ্চ তৎপর ও সতর্ক থাকবেন।
জাতীয়ভাবে ১৭ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। সুতরাং স্থানীয়ভাবে পুনরায় কোনো আনুষ্ঠানিকতার অজুহাতে সংগ্রহ কার্যক্রম বিলম্বিত করা যাবে না। অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২২-২৩ মৌসুম চলাকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকবেন।
এম ইসলাম