কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন আগামী তিন বছরের মধ্যে চাহিদার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোজ্যতেল দেশেই উৎপাদন করা হবে।
আজ শনিবার সকালে গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘আগে সবাই মূলত সরিষার তেল খেত। তখন সরিষার ভাল জাত ছিল না, উৎপাদন ছিল না, মানুষ বাড়ছিল। পরে সবাই ধান আবাদে চলে যায়। তখন বেশিরভাগ জমিতে ধান আবাদ হত। এরপর বিদেশ থেকে সয়াবিন ও পাম অয়েল সস্তায় আমদানি করে তেলের চাহিদা মেটানো হত। কিন্তু এখন এমন অবস্থা হয়েছে আমরা পুরোপুরি তেল আমদানিনির্ভর হয়ে গেছি।
’মন্ত্রী বলেন, ‘আশার কথা হচ্ছে, এ সমস্যা সমাধানে দুটি সফলতা এসেছে। স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেল উৎপাদন হবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) বিজ্ঞানীরা অনেক ভাল সরিষার জাত উদ্ভাবন করেছেন। আগে বিঘায় দেড় থেকে দুই মণ সরিষা হত। এখন সেটা ৬ থেকে ৭ মণ হচ্ছে। আগে সরিষা ছিল ছোট ছোট কিন্তু এখন আকারে বড় হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আমনের পরই সরিষা লাগানো হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণত আমন ধান হয় ১৪০ বা ১৬০ দিনে। এ কারণে সময় বেশি লাগায় কৃষক পরে আর সরিষা লাগাতে চায় না। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন জাত উদ্ভাবন করেছেন যেটা ১১০ বা ১১৫ দিনেই হয়। কাজেই আমন ও বোরো ধানের মধ্যে যে সময়টা তার মধ্যে সরিষা আবাদ করা সম্ভব। ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে সরিষা এসে যায়। এতে সরিষা তুলে বোরো আবাদ করতে পারেন চাষিরা।
কৃষক এ সরিষা থেকে ৩০ বা ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।’
বক্তব্যে চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন মো. আবদুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।
এম ইসলাম