কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : প্রচুর সবজি ফলিয়ে এবার বেকায়দায় পড়েছেন বগুড়া ও কুড়িগ্রামের সবজি চাষীরা । গত কয়েক রোজাতে সবজির দাম ভাল পেলেও এবার পানির দরে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের । অথচ খুচরা বাজারে একই সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশী দরে। কনজু্যমার এসোসিয়েশন আব বাংলাদেশ( ক্যাব)কর্মকর্তা বলছেন, বাজার মনিটরিং না থাকায় এমনটি হচ্ছে।
এদিকে পাইকারি ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, ঘাটে ঘাটে টোল আর চাঁদাবাজির কারণে খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। বুধবার মহাস্থান পাইকারি সবজির বাজারে ঝিঙ্গা,বরবটি, পটল, মরিচ, বেগুন মূলা, নিয়ে বসে আছে শতশত কৃষক। ক্রেতা নেই, যারা আছেন তারাও আবার দাম করছেননা সবজির।জেলার বড় সবজির পাইকারি বাজারর মহাস্থান, সুলতানগঞ্জে প্রতিকেজি ঝিঙ্গা ২ টাকা, করলা ৫ টাকা, বরবটি ৮ টাকা, বেগুন ৬ থেকে ১০ টাকা, মুলা ১০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৫টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে পাইকারি বাজারগুলোতে সবজির দাম আরো কম। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ টাকা, ঝিঙে ৪ থেকে ৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৩ থেকে ৪ টাকা, করলা ৫ থেকে ছয়৬, ঢেড়শের দাম মাত্র ২ আর বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪থেকে ৫ টাকায়।
প্রতিটি সবজি চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। পটল ও করলা আট থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা, কাঁচা মরিচ সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকা, আর বেগুনে খরচ ১৬ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলেও বাজার দরে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। জেলার ৯ উপজেলায় এবার চার হাজার একশ’ ৩৬ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম