কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরিশাল জেলার সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন রোধে ও নদী তীর সংরক্ষণে প্রায় ২’শ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সুগন্ধা বেড়িবাঁধ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন রোধ, নদী তীর সংরক্ষণ ও বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষায় জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ সম্পন্ন। জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার সুগন্ধা নদী বর্ষা মৌসুমে খুবই প্রমত্তা থাকে। দোয়ারিকা সেতু, নদী তীরবর্তী রাকুটিয়া গ্রাম, বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন, বরিশাল বিমান বন্দর এলাকা এ নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করতে এ প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নদী তীর সংরক্ষণ, ড্রেজিং ও নদী শাসনে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব (জিওবি) অর্থ্যায়নে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধিনে অর্পিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ ব্যপারে সুগন্ধা নদী তীরবর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা জানান, সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গনে ইউনিয়নের একটি মসজিদ, একটি ঈদগাহ, প্রায় ৫টি বাড়িসহ বেশকিছু ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে ভাঙনের গতি আগের থেকে এখন কিছুটা ধীরগতি।
এ বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বিভাগ (বাপাউবো)-এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শুভ বলেন, ১১ টি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বমোট প্রায় ২’শ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নদীর ভাঙ্গন রোধে নদীর বাম তীরে ৫টি প্যাকেজর মাধ্যমে ২ কিলোমিটার ও ডান তীরে ৫টি প্যাকেজের মাধ্যমে ১.৭৬৫ কিলোমিটার জুড়ে এ সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এছাড়াও অপর প্যকেজটি হচ্ছে ড্রেজিং। ড্রেজিং করা হয়েছে প্রায় ৬’শ ২৫ কিলোমিটার।
এ বিষয়ে বরিশাল পওর বিভাগ (বাপাউবো)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিব হোসেন বলেন, এরইমধ্যে প্রকল্পটির কিছু স্থানে জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলা শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির নির্ধারিত সকল স্থানে আগামী কিছু দিনের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। আগামী বছরের শুরু থেকে সিসি ব্লক ও ডাম্পিং-এর কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাস্তবায়নাধিন প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হবে আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এছাড়া ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সুগন্ধা ভাঙন রোধে ফেলা হয়েছে ১২ হাজার জিও ব্যাগ।
তিনি আরো বলেন, সুগন্ধা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে ১২’শ কোটি টাকার আরো একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
সুত্রঃ বাসস / এম ইসলাম