কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালিতে জমে ওঠেছে ফুলের বেচাকেনা।এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ বাজারে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম।
সামনে বসন্ত উৎসব,ভ্যালেনটাইন দিবস,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস,বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফুল উৎপাদন ও বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল চাষি, পাইকারি ব্যবসায়ী,ক্রেতা-বিক্রেতারা।
কৃষি বিভাগও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গদখালি ও পানিসারা এলাকায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি কৃষক বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন রজনীগন্ধ্যা, গোলাপ, রডস্টিক, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, জিপসি, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,জেলার ৩ উপজেলায় ফুল চাষ হয়ে থাকে।এ জেলায় মোট ৬শ’৫০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়েছে।এর মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলায় ফুল চাষ হয়েছে ৬শ’৩০ হেক্টর জমিতে।ঝিকরগাছায় ফুল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম।এ উপজেলার গদখালি, পানিসারা, হাড়িয়া, নীলকন্ঠ নগর, চাওরা, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, চাঁদপুর, বাইশা,পাটুয়াপাড়া, নারানজালি গ্রামসহ প্রায় ৫০-৫৫টি গ্রামে ফুল চাষ হয়ে থাকে। এছাড়া শার্শা উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে এবং কেশবপুর উপজেলায় ফুল চাষ হয়েছে ১ হেক্টরের সামান্য বেশি জমিতে।সদর উপজেলায় প্রায় ৯ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ শুরু হয়েছে।দেশের ফুলের মোট চাহিদার ৭০ভাগই যশোরের গদখালি থেকে সরবরাহ হয়ে থাকে। ফুলের বাজারমূল্য ভালো থাকায় ফুলচাষিরা খুশি।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, ঝিকরগাছায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে ৭০-৭২ প্রজাতির ফুল চাষ হয়ে থাকে।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মঞ্জুরুল হক জানান, এ জেলায় ফুলের চাষ বাড়াতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে টিউলিপ ফুলসহ বিভিন্ন ফুলের প্রদর্শনী,উদ্যোক্তা ও ফুলচাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।ফুলচাষিদের ভারতসহ বিদেশে প্রশিক্ষণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সুত্রঃ বাসস / এম ইসলাম