কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা ১৫৪টি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শিল্প মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা এক প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ মোহম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম শাহিদুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এছাড়া ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারণে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশে প্রতিদিন কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তার নির্ধারণ করে আগামী ১৭ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শিল্প সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশের পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, তিন বছর আগেই হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সারানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে আদালত তাঁর নির্দেশ অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা চান। এই নির্দেশের ভিত্তিতে ১৫৫টি ট্যানারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি সাভারে গেছে। বাকি ১৫৪টি প্রতিষ্ঠান এখনো হাজারীবাগে আছে। পরিবেশদূষণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এখন থেকে প্রতিদিন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। ওই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে। গত ৬ জুন হাইকোর্টের এক আদেশে হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরিত না হওয়া ট্যানারির তালিকা দাখিলের জন্য শিল্পসচিবকে নির্দেশ দেয়। নির্দেশ মোতাবেক শিল্প সচিবের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহম্মদ রইস উদ্দিন ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা আদালতে দাখিল করেন। কিন্তু ঐ তালিকায় স্থানান্তরের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য ছিল না।
রিটকারী সংগঠনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, ২০১৩ সালে সাভারের ট্যানারি স্থানান্তরের সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো সব ট্যানারি সরানো হয়নি। প্রতিনিয়ত তারা আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে চলেছে। কঠোর পদক্ষেপ নেয়া না হলে কখনই এসব ট্যানারি এখান থেকে সরবে না। এ পর্যায়ে মনজিল মোরশেদ প্রতিদিন এক লাখ টাকা করে প্রতিটি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আবেদন জানান। এ পর্যায়ের আদালত এক লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রিলায়েন্স নামক একটি ট্যানারি সাভারে তাদের প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরিত করেছে।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম