কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যরাজ পয়েণ্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের ঢলে বুধবার রাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেণ্টিমিটার ওপরে ওঠে। সকাল নয়টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকার পর বেলা ১২টায় ছয় সেণ্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে।এর আগে বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার তিন সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ওই পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমার দুই সেণ্টিমিটার নিচে ছিল। গত সোমবার বেলা তিনটায় সেখানে ২৩ সেণ্টিমিটার নিচে ছিল।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত ১৫টি চর গ্রামের সহ¯্রাধিক পরিবারের বাড়ি ঘরে তিস্তা নদীর পানি প্রবেশ করেছে।
ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই এবং ঝাড়সিংহেশ^র গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়ি ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ‘উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ব্যরাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা ১২টায় ছয় সেণ্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখতে ব্যরাজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে’।
সুত্রঃ বাসস / এম ইসলাম