কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টানা হরতাল-অবরোধের কারণে বিপাকে পড়েছেন আলুচাষিরা। লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করে বিক্রি করতে গিয়ে উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না তারা। এছড়াও ভারত থেকে নতুন আলু আমদানি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে আলুর দাম কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। স্থানীয় আলুচাষিরা জানান, গত বছর এ সময় আগাম জাতের নতুন আলু বিক্রি হয়েছিল ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। সেই আলু এবার ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের।
আগাম আলুচাষি আলম হোসেন বলেন, ‘আমি ৭ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। আজ (শুক্রবার) এক বিঘা জমির আলু তুলেছি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা হরতাল-অবরোধের কারণে আলুর ভালো দাম দিচ্ছে না।’
আলুচাষি আলম আরও জানান, প্রথমে অসময়ে বৃষ্টির কারণে আগাম আলু চাষ করতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয়েছে। এখন হরতাল-অবরোধ ও ভারত থেকে আমদানির কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আলুর দাম কমিয়ে দিয়েছে।
একই এলাকার আলুচাষি এমদাদুল হক বলেন, তিনি ১২ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছেন। হরতাল-অবরোধের কারণে দেশীয় আলুর দাম কমিয়ে দিয়ে চাষিদের জিম্মি করে ফেলেছে ব্যবসায়ীরা।
আগাম আলু ক্রয়কারী চাঁদপুরের সবজি আড়ৎদার সেলিম হাওলাদার বলেন, ‘নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু উত্তোলন হয়। সে কারণে চাঁদপুর থেকে এখানে এসে নতুন আগাম আলু কিনে নিয়ে যাই। এবার হরতাল-অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় এবং ভারত থেকে নতুন আলু আমদানি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে আলুর দাম কমে গেছে। আজ শুক্রবার ৭০ টাকা কেজি দরে ফসলের মাঠেই ৬৭০ কেজি আলু কিনেছি, যা দুপুরেই ট্রাকে ঢাকার কাওরান বাজারে পাঠিয়েছি।’
কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে কৃষক তাদের পণ্য ঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারছেন না। এ কারণে আলু কিনছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে কিছুটা কম দামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের।
এম ইসলাম