বাংলাদেশে চাষ বাড়ছে কাটিমন নামের বারোমাসি আমের। দেশের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারে এর চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। বছর জুড়ে এই আম উৎপাদিত হয় বলে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বছরে দুই বার তোলা যায় কাটিমন আম।বর্তমানে সারা দেশেই এই আমের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হলেও সবচেয়ে বেশি চাষ হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায়। কৃষি বিভাগ থেকে পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারে এর চারা উৎপাদন করা হয়। এখন দেশের বিভিন্ন নার্সারির মাধ্যমে এই আম গাছ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
কাটিমন আমের স্বাদ ভালো, বেশ মিষ্টি হয়। এছাড়া আঁশ না থাকার কারণে এটির চাহিদা রয়েছে।কৃষি বিভাগের আওতায় বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ আমের এই প্রজাতিটি প্রথম বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। কৃষি তথ্য সার্ভিসে একটি লেখায় তিনি এই আম সম্পর্কে বলেন, কাটিমন আমটিকে স্থানীয়ভাবে অমৃত নামেও ডাকা হয়। যেকোনও বারোমাসি আমের জাতের মধ্যে এটি আঁশহীন সেরা জাত।
কাটিমন আম গাছে ফেব্রুয়ারি, মে ও নভেম্বর মাসে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন ও জুলাই-অগাস্ট মাসে আম পাকে। তবে মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশীয় নানা জাতের আম থাকার কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে মুকুল ভেঙ্গে দেয়া হয়। আমচাষীরা বলছেন, বাজারে প্রতি মণ কাটিমন আম ছয় হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়।
কৃষি কর্মকর্তারা বলেন,আমের মৌসুমে দেশী জাতের আম চাষ করে অনেক কৃষক ক্ষতির মুখে পড়লেও কাটিমন আম চাষ করে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। কারণ আমের মৌসুমে ফলন প্রচুর হওয়ার কারণে অনেক সময় কৃষকরা আম বাজারজাত করতে সমস্যার মুখে পড়েন। কিন্তু কাটিমন মৌসুমের বাইরে হওয়ার কারণে এটি বাজারজাত করতে কোনও সমস্যা হয় না। উল্টো বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়।
লাভজনক বিধায় কৃষকরা নতুন করে বাগান করার বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে। বাগানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
/ফাতিহা/ এম ইসলাম/