নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরগুনার আমতলীতে কৃষকদের মাঝে ব্রি উদ্ভাবিত বোরোর বীজধান বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ উপজেলার ছুরিকাটায় বাংলাদেশ ধান গবেষাণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্যোগে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মাদ খালেকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মাদ আশিক ইকবাল খান। ব্রির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তুষার চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান আলী, আমতলীর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইছা, কৃষক জুয়েল মোল্লা, কৃষক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ব্রির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজওয়ান বিন হাফিজ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সায়েম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকসহ শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মাদ খালেকুজ্জামান কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাধীনতার সময় দেশের ৭ কোটি মানুষের খাদ্যের ঘাটতি ছিল। এখন কয়েকগুণ বেড়েও আমরা খেয়ে-পড়ে ভালো আছি। আর তা ফসলের উচ্চফলনশীল জাত ব্যবহারের কারণেই সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় বরিশালের শস্যভান্ডার এখন উত্তরাঞ্চলে চলে গেছে। তবে আমরা ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগী বেশ কয়েকটি ধানের জাত অবমুক্ত করেছি। এগুলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। আশা করি আপনাদের এবং আমাদের সম্মেলিত প্রচেষ্টায় ধানের উৎপাদন বাড়িয়ে বরিশালের হারানো সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনব ইনশা-আল্লাহ।
উল্লেখ্য, ব্রির তত্ত্বাবধানে চলতি মৌসুমে ১ হাজার একর জমিতে বোরোর প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হবে। একরপ্রতি কৃষকদের দেয়া হবে ১০ কেজি করে বীজ । এসব জাতগুলো হলো- ব্রি ধান১০১, ব্রি ধান১০২, ব্রি ধান১০৪, ব্রি ধান১০৫ ও ব্রি ধান১০৭। এর সাথে রয়েছে রাসায়নিক সার এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণ। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি পার্টনার প্রকল্পের আওতাধীন ৩৬ জন কৃষকের মাঝে বীজধান বিতরণ করেন।
/এম ইসলাম/