কৃষি প্রতিক্ষন রিপোর্ট: রসালো ফল আম দিন দিন অর্থকারী ফসলে রূপান্তরিত হচ্ছে ।প্রতিবছরই বাড়ছে আমের উৎপাদন, বড় হচ্ছে বাজারও। দেশে শুধু আমের বাজার এখন প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার। চলতি বছরে বিদেশে আম রপ্তানীর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৯শ টন । এদিকে আম উৎপাদনকে ঘিরে সারা বছরই থাকে নানামুখী কর্মব্যস্ততা। বিশেষ করে উত্তরের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে এই ব্যস্ততা পরিলক্ষিত হয় ।চলতি বছর ভরা এই মৌসুমে ভোর হতেই দলে দলে আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের এই নিরন্তর ছুটে চলা। চলছে মগডাল থেকে আম পাড়ার ধুম। প্রখর তাপও যে কমাতে পারেনি আমরাজ্যের এসব লোকেদের।
বিশ্লেষকদের মতে, যথাযথ সংরক্ষণ, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণা বাড়ানোর মাধ্যমে এর নাম রফতানি তালিকায় উঠে আসা উচিত। দেশে বাণিজ্যিকভাবে আম উৎপাদন হয় অন্তত ২২টি জেলায়। তবে এর আদিভূমি বলা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জকে। এফএওর হিসাব বলছে, গত দশ বছরে বাংলাদেশে আমের উৎপাদন বেড়েছে অন্তত চারগুণ। গেল বছরে আমের ফলন হয়েছিল ১১ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি। এবারে যা আরো বাড়তে পারে।
আম উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী সমিতির হিসাবে, দেশে আমের অভ্যন্তরীণ বাজার এখন ৫ হাজার কোটি টাকা। আর কানসাট আম আড়ত সমিতির হিসাবে, শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাজার দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যঅনুযায়ী, এ বছর আম রফতানি হতে পারে ৯শ টন। বিশ্লেষকরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এগুলে দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত আমের রফতানি সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে নজর দিতে হবে, আধুনিক উৎপাদন, গবেষণা এবং বিপণণ ব্যবস্থার দিকে।
আমের গুণগত মান ধরে রাখতে ফ্রুটব্যাগিং বা প্যাকেটজাত পদ্ধতির ব্যবহার করছেন অনেকেই। যদিও এতে কিছুটা বাড়তি খরচও গুণতে হচ্ছে। ফ্রুটব্যাগিং করা প্রায় সব আমই রফতানিযোগ্য। তবে রফতানিতে এখনো কিছু বাধা রয়েছে যা দুর করতে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, প্রতিবছর বাংলাদেশে আমের উৎপাদন বাড়ছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম