কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : টাঙ্গাইলে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হচ্ছে আনারস। কিন্তু সুস্বাদু ও গুণেভরপুর এই ফলটি সময়ের আগেই বাজারজাত করতে চাষিরা ব্যবহার করছেন মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ। জেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাসায়নিকের ব্যবহার রোধ করা যাচ্ছেনা ।
এদিকে কৃষকদের দাবি, এতে আনারসের স্বাদের ঘাটতি হলেও বাড়ছে ফলন। যা দিয়ে আয় হচ্ছে বাড়তি মুনাফা। অবশ্য চাষি ও ভোক্তার মধ্যে জন সচেতনতা তৈরিতে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না রাসায়নিকের ব্যবহার।
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে জল-ডুবিসহ নানা প্রজাতির আনারস। তবে ফলের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং দ্রুত বাজারজাতের জন্য আবাদের শুরু থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। এতে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে ফলের স্বাদ অন্যদিকে তা মানবদেহের জন্য হয়ে উঠছে ক্ষতিকর।
কৃষকদের দাবি, ক্রেতাদের আকৃষ্ট এবং বাড়তি ফলনে লাভের অংক বাড়াতেই এই পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে আনারস। প্রশাসনের দাবি, মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার রোধে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ইবনে ছাইদ বলছেন, এ ধরণের রাসায়নিক পদার্থ মানবদেহের জন্য ভয়াবহ হুমকি। চলতি বছর জেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আনারস চাষ করা হয়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ মেট্রিক টন আনারস।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম