কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : এবার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে জেলেদের সরকারি সহায়তা দেয়া যেমন সহজ হবে তেমনি সীমান্ত পথে কমবে চোরাকারবার ও অন্যান্য অপরাধও।
সাগর পথে মানব ও মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে বিভিন্ন মাদক কক্সবাজারের সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে থাকে । সাগরে জেলে সেজেই এসব অপরাধ করে অপরাধচক্রের সদস্যরা। এসব অপরাধ দমনে প্রকৃত জেলে সনাক্ত করতেই পরিচয়পত্র দেয়ার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় জেলেরা। তারা মনে করেন প্রকৃত জেলে শনাক্ত করতে এই পরিচয়পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় চলছে জেলেদের নিবন্ধন কার্যক্রম। এতে সহজে তাদের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছানোর পাশাপাশি অপরাধও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজারের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিতোষ সেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত জেলেদের এই পরিচয়পত্র কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অবিলম্বে প্রকৃত সকল জেলেদের এই পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। জেলা মৎস্য অফিসের হিসেবে, কক্সবাজারে পাঁচ হাজার দুশ’ ৪০টি মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। এ পর্যন্ত নিবন্ধনের আওতায় এসেছেন প্রায় ৪১ হাজার জেলে ।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম