কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মুগডাল আবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ ২০ হাজারের বেশি গ্রামীণ নারীর আয় বৃদ্ধির সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে। এ অঞ্চলে চলতি মৌসুমে নগদ অর্থকরী ফসল হিসেবে মুগডাল আহরণ করা হয়। জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে ক্রমবর্ধমান হারে মুগডাল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে গোটা এলাকায় মুগডাল আহরণ চলছে। এবারই প্রথম বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত বারি-৬ জাতের মুগডাল আবাদ করা হয়। এবছর মুগডাল আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকরা বলছেন, মুগডাল আবাদে তারা ভালো লাভজনক অবস্থানে রয়েছেন। নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের কাচ্চিকাথা গ্রামের গৃহবধু আয়েশা আক্তার (২৫) বলেন, তিনি অসহায় অবস্থায় ছিলেন, এখন তিনি কৃষকের খেত থেকে ১৫ থেকে ৩০ কেজি মুগডাল তোলার মাধ্যমে দৈনিক ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা আয় করছেন।
মুগডাল বীজ সংগ্রহে কৃষকরা কেজি প্রতি ১২ টাকা দিয়ে থাকেন। রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলার ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে মুগডাল আবাদ হচ্ছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রদর্শিত মুগডাল উৎপাদনের পরিমাণ ২৫,০০৬ টন। তবে নাটোর জেলায় ১৯,৫০০ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, মুগডাল আবাদ লাভজনক হওয়ায় নাটোরসহ গোটা এলাকায় আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুত্রঃ বাসস