কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাংলাদেশের আবাদি জমির এক তৃতীয়াংশ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আর এই উপকুলীয় জমির প্রায় ১০ লাখ হেক্টর জমি লবণাক্ত। সেচ পানির অভাব ও লবনাক্ততার কারনে ৫ লাখ হেক্টর জমি পতিত থাকছে। সম্প্রতি কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থ্যায়নে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) কৃষি প্রকৌশল বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নাজমুন নাহার করিম এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিকুর রহমান লবনাক্ত এলাকায় ভু-উপরিস্থিত এবং ভু-নিম্নস্থ সেচ পানির যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শস্যের উৎপাদন ও নিবিড়তা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা হিসেবে সাতক্ষীরার খড়ি ভিলা গ্রামে কৃষকের মাঠে ভূট্রার উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা গেছে ভু-নিম্নস্থ সেচ পানির প্রয়োগে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৬.০ টন ফলন হয়েছে। বিনার বিজ্ঞানিরা আশা প্রকাশ করছেন যে, ধান চাষের পাশাপাশি ভূট্রার চাষ করা হলে লবনাক্ত জমি চাষের আওতায় আসবে। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বিএআরসি, ঢাকা এর অর্থ্যায়নে কৃষি প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার খড়িভিলা গ্রামে কৃষকের মাঠে ভূট্রা পরীক্ষণের উপর একটি মাঠ দিবস আয়োজন করে। মাঠ দিবসে সদর উপজেলার দু’শত কৃষক অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন বিনার ফিজিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ এ এইচ এম রাজ্জাক, কৃষি প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ আজগার আলী সরকার।