কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন পাহাড়ে গড়ে উঠেছে বারি আম-৪ বা রুপালি জাতের আমের বাগান। পাহাড়ের এসব বাগানে এবার আমের ভাল ফলন হয়েছে। খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ রুপালি জাতের আমের বাগান করেছেন কৃষক। এখান থেকে আম যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে। কৃষকরা জানালেন, তারা রাসায়নিক সার বাদ দিয়ে শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করে আম চাষাবাদ করছে।
আম বাগান মালিকরা বলেন, কেউ যাতে আমগুলোতে ফরমলিন বা বিষযুক্ত কিছু প্রয়োগ করতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ রয়েছি। রাসায়নিকমুক্ত আমের সুনাম ধরে রাখতে কৃষক ও বাগান মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা আম পাকাতে কার্বাইডের পরিবর্তে পূর্ণ বয়সে আম সংগ্রহ এবং হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট-এর পরামর্শ দিয়েছেন।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা বলেন, আমগুলোকে যদি পূর্ণ বয়সে চাষাবাদ করা যায় তাহলে এগুলো এমনিতেই পেকে যাবে, কার্বোহাইড ব্যবহার করার কোনো দরকার নেই। ফরমালিন ব্যবহার না করে আমাদের বিআরআই থেকে একটা প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে সেটা হলো হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট। যদি প্ল্যান্ট থাকে তবে হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করা যায়।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জানায়, জেলার পাহাড়ি উঁচু জমিতে উন্নতজাতের আম রুপালি আমের পাশাপাশি স্থানীয় জাতের রাংগুয়া, হিমসাগর, রত্না, মল্লিকা, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আম বাগান করা হয়েছে। পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মনোরঞ্জন ধর বলেন, দিন দিন এ অঞ্চলে আমের চাষাবাদ বেড়ে চলেছে ফলে কৃষকদের আর্থ সামাজিক অবস্থা উন্নতি হচ্ছে। চলতি বছর জেলায় আম বাগান রয়েছে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে।
সুত্রঃ channelionline.com