কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : বাংলাদেশের জলবায়ু পরজীবির বংশবিস্তারের সহায়ক তাই এখানে গবাদিপশুতে কৃর্মি রোগের প্রাদূর্ভাব বেশী। এই রোগ গবাদিপশুর পুষ্টি উপাদান শোষণ করে প্রতি বছর ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করে। নিয়মিত কৃমিনাশক ব্যবহার করে সহজেই গবাদি পশুকে কৃমি মুক্ত রাখা যায়।
কৃমিনাশক ব্যবহার পদ্ধতিঃ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক গুনগত মানসম্পনড়ব ঔষধ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশের আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে বছরে দুটি কৌশলগত মাত্রা, একটি শরতের শেষে (নভেম্বর-ডিমসম্বর মাসে) অন্যটি বর্ষার শুরুতে (মে-জুন মাসে) প্রয়োগ করতে হবে।
কৃমিরোগ দমনের কর্মপন্থাসমূহঃ পরজীবিবহুল এলাকায় সকল পশুকে একসাথে পরজীবিনাশক প্রয়োগ করতে হবে। এরপর নিয়মিতভাবে বছরে অন্ততঃ ২ বার বর্ষার আগে (মে-জুন) এবং শরতের শেষে (নভেম্বর-ডিমসম্বর মাসে) কৃমিনাশক প্রয়োগ করতে হবে। জলজ স্যাঁতস্যাঁতে এলাকায় গবাদিপশু চড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।গবাদিপশুর গোবর স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশের যে সকল এলাকায় পরজীবির ব্যাপকতা বেশী সে সব জায়গায় আবদ্ধ পদ্ধতিতে গবাদিপশু পালন করলে সুফল পাওয়া যাবে।
উপকারিতাঃ অধিকাংশ কৃমিনাশকই দামে সস্তা। গবেষণায় দেখা গেছে কোন কৃষক যদি কৃমিনাশকের জন্য ১ টাকা খরচ করে তবে সে দুধ ও মাংস বাবদ ১০ টাকা আয় করবে।
সংরক্ষণ ও সর্তকতাঃ সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করলে পশুর কোন ক্ষতি হয়না এবং উৎপাদন ক্ষমতা কমে না।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম