কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সারা বিশ্বে প্রতি চারজনের মধ্যে অন্তত একজনের মৃত্যু হয় পরিবেশগত কারণে৷ বায়ু, পানি ও মাটির দূষণ এবং সেই সঙ্গে অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও রাস্তাই মূলত এমন মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) দেখেছে, ২০১২ সালে সারা বিশ্বে মোট যতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত এক চতুর্থাংশেরই মৃত্যুর কারণ ছিল বায়ু, পানি ও মাটির দূষণ আর অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও রাস্তাসহ আরো কিছু পরিবেশগত সমস্যা৷ তাদের প্রতিবেদন বলছে, ২০১২ সালে আনুমানিক ১ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে খারাপ পরিবেশে বসবাস ও কাজ করার কারণে৷ এটা সে বছরের মোট মৃত্যুর শতকরা ২৩ ভাগ৷ পরিবেশগত কারণে এত মানুষের মৃত্যুতে ডাব্লিউএইচও শঙ্কিত৷ সংস্থার প্রধান মার্গারেট চ্যান বলেছেন, ‘‘সব দেশ এখনই মানুষের বসবাস ও কাজের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর করার উদ্যোগ না নেয় তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং কম বয়সে মারা যাবে৷”
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১২ সালে পরিবেশগত কারণে মৃত্যুবরণ করা মানুষদের মধ্যে ৮২ লাখ মারা যায় বায়ু দূষণজনিত রোগের কারণে৷ প্রায় ৮ লাখ ৪৬ হাজার মানুষের ডায়রিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে ডাব্লিউএইচও-র প্রতিবেদনে, কেননা, বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন মৃত ব্যক্তিদের ডায়রিয়া হয়েছিল দূষিত পানি পান করার কারণে৷
এছাড়া ১৭ লাখের মৃত্যুর কারণ ছিল সড়ক দুর্ঘটনার মতো ‘অনিচ্ছাকৃত চোট বা আঘাত’৷ পাশাপাশি রাসায়নিক দ্রব্য ও কীটনাশক যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা এবং আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতার কারণে সারা বিশ্বে যারা আত্মহত্যা করতে পেরেছেন, তাদের মৃত্যর বিষয়টিও এসেছে প্রতিবেদনে৷ চার বছর আগে সারা বিশ্বে এমন কারণে আত্মঘাতী হতে পেরেছিলেন ২ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ৷ সে বছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়৷ সেখানে এমন মৃত্যু হয়েছে ৩৮ লাখ মানুষের৷ একই রকম কারণে ৩৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে৷ ইউরোপ আর আফ্রিকায় পরিবেশগত কারণে মারা গিয়েছিল যথাক্রমে ১৪ ও ২২ লাখ মানুষ৷ এমন মৃত্যু সবচেয়ে কম হয়েছে অ্যামেরিকায়৷ পরিবেশগত কারণে সে বছর অ্যামেরিকায় মারা গিয়েছিল ৮ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষ৷
কৃপ্র /এম ইসলাম