কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : মসুরে যে সকল রোগ আক্রমন করে থাকে সে সকল রোগ তার প্রতিকারের পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো ।
মসুরের গোড়া পচা রোগ: এ রোগের জীবাণু স্কেলেরোসিয়াম রলফসি নামক এক প্রকার ছত্রাক। গাছ আক্রান্ত হলে পাতা ক্রমান্বয়ে হলদে রং ধারণ করে। আক্রান্ত গাছ ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে যায়। মাটি ভিজা থাকলে গাছের গোড়ায় ছত্রাকের সাদা মাইসেলিয়াম ও সরিষার দানার ন্যায় স্কেলেরোসিয়াম গুটি দেখা যায়। এ জীবানু গাছের অবশিষ্টাংশ, বিকল্প পোষাক ও মাটিতে বেঁচে থাকে এবং পরবর্তী বছরে ফসল আক্রমণ করে। ভিজা স্যাঁতসেঁতে মাটি রোগ বিস্তারের সহায়ক।
প্রতিকার
১। ফসলের পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
২। অধিক পরিমাণ পচা জৈব সার ব্যবহার করতে হবে।
৩। ভিটাভেক্স-২০০ প্রতি কেজি বীজে ২.৫-৩.০ গ্রাম (০.২৫%) মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
মসুরের মরিচা রোগ দমন
ইউরোমাইসিস ভিসিয়া ফেবি নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়। আক্রান্ত গাছের পাতায় বিভিন্ন আকৃতির ছোট ছোট মরিচা রঙের গুটি দেখা যায়। পরবর্তীতে তা গাঢ় বাদামি ও কালো রং ধারণ করে। কান্ডেও এ রকম লক্ষণ দেখা যায়। আর্দ্র আবহাওয়ায় ও রোগের প্রকোপ বেশী হয়।
প্রতিকার
১। ফসলের পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
২। রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন বারি মসুর-৩ ও বারি মসুর-৪ চাষ করতে হবে।
৩। টিল্ট-২৫০ ইসি (০.০৪%) ১২-১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার সেপ্র করতে হবে।
মসুরের স্টেমফাইলাম ব্লাইট রোগ দমন
স্টেমফাইলাম প্রজাতির ছত্রাক দ্বারা এ রোগ সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত গাছের পাতায় সাদা ছত্রাকের জালিকা দেখা যায়। দূর থেকে অক্রান্ত ফসল আগুনে ঝলসানো মনে হয়। আক্রমণের শেষ পর্যায়ে গাছ কালচে বাদামি রং ধারণ করে । ভোর বেলায় পাতা এরং কান্ডে এক ধরণের সাদা ছত্রাক জালিকার উপস্থিতি দ্বারা সহজেই স্টেমফাইলাম ব্লাইট রোগ সনাক্ত করা যায়।বীজ, বিকল্প-পোষাক, বায়ু প্রভৃতির মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে।
প্রতিকার
১। ফসলের পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
২। আক্রমণ দেখা দেওয়ার মাত্র রোভরাল-৫০ ডব্লি পি নামক ছত্রাক নাশক (০.২%) ১০ দিন অন্তর অন্তর ২-৩ বার সেপ্র করতে হবে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম