কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ: তাজা ফলের রসে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, এনজাইম ও হজমকারক পদার্থ থাকে বলে রোগ প্রতিরোধ, রোগ সারাতে এবং দেহ সুস্থ রাখতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে, দৈনিক গড়ে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ১১৫ গ্রাম ফল খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা গড়ে পাচ্ছি ৩৫-৪০ গ্রাম। আমাদের দেশে সারা বছরই বিভিন্ন রকম ফল পাওয়া যায়। তাই খুব সহজেই প্রাকৃতিক উৎস থেকে ফলের রস পান করে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা যায়। ভারতীয় ভেষজবিদদের মতে, ভারি খাদ্য খাওয়ার আগে ফলের রস খেলে হজমে উপকারী হয়। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রোগ সারাতে এবং সুস্থ থাকতে কোন ফলের কি ভেষজগুণ রয়েছে জানা দরকার।
আম : ফলের মধ্যে পাকা আমে সবচেয়ে বেশি কারোটিন থাকে। ক্যারোটিন রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। প্রতি বছর দেশে ক্যারোটিনের অভাবে ১ লাখ শিশু রাতকানা এবং ৩৬ হাজার শিশু অন্ধ হচ্ছে। পাকা আমের রস ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিক বা বলকারকের কাজ করে। আম যকৃতের জন্য উপকারী। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের দৈনিক ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন প্রয়োজন। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী পাকা আমে ৮৩০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। অর্থাৎ প্রতিদিন ১০ গ্রাম পাকা আম খেলে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণ হবে। কাঁচা আমে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় ত্বক ও দাঁতের জন্য খুব উপকারী। কাঁচা আমের রস জ্বর ও সর্দি সারায়। ক্যারোটিন ক্ষুদ্রান্ত্রে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তর হয়।
কাঁঠাল : কাঁঠালের শাঁস ও বীজ বলবর্ধক। কাঁচা ও পাকা কাঁঠাল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাকা কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ (৪৭০০ মাইক্রোগ্রাম) আছে। যা চোখের জন্য উপকারী। দৈনিক ১৬ গ্রাম পাকা কাঁঠালের রস খেলে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণ হয়। কাঁঠালের রসে ও বীজে এনজাইম আছে যা খাদ্য হজমে সহায়ক। কাঁঠালে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, সালফার ও ক্লোরিন থাকায় রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
লিচু : লিচুতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ কম থাকলেও প্রচুর খাদ্য শক্তি রয়েছে। লিচু মুখের রুচি বাড়ায়। ঠাণ্ডা ও সর্দি জ্বরে উপকারী, কাশি, পেটব্যথা, টিউমার ও গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি দমনে লিচু ভূমিকা রাখে। কচি লিচু বসন্ত রোগে ব্যবহার হয়।
আনারস : আনারসে ব্রমেলিন নামক হজমকারক পদার্থ থাকে। এর রস গলা ব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের সমস্যা উপশমে উপকারী। এটি অতিরিক্ত কফ গলিয়ে দেয়। মূত্রবর্ধক হিসেবে আনারসের রস কিডনির কার্যাবলী স্বাভাবিক রাখে। ইহা কৃমিনাশক, বলকারক, কফপিণ্ড বর্ধক, পাণ্ডুরোগে উপকারী। সর্দি-জ্বর সারাতে আনারস ওষুধের মতো কাজ করে। খালি পেটে আনারস খাওয়া ঠিক না। দুধ খাওয়ার আগে বা পরে অথবা দুধের সাথে আনারস খাওয়া ঠিক না। গর্ভবর্তী মহিলাদের আনারস খাওয়া ক্ষতিকর। আনারসে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ আছে।
তরমুজ : তরমুজের রস জ্বর, সর্দি, ঠাণ্ডা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। লেবুর রসের সাথে তরমুজ মিশিয়ে খেলে শরীরে বাড়তি ইউরিক এসিড দূর করে। তরমুজে বিদ্যমান আয়রন ও ক্যারোটিন যথাক্রমে রক্তাল্পতা ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। অন্ত্রীয় ক্ষত সারাতে উপকারী। তরমুজের রস কিডনি সবল রাখে।
জাম : কচি ও পাকা জামে পেটের আমাশয়ের জন্য উপকারী। পাকা ফল লবণ মাখিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে চটকিয়ে রস খেলে অরুচি ও বমিভাব দূর হয়। অধিকাংশ ফলের চেয়ে জামে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি আছে। জাম রক্ত শোধন, ডায়াবেটিস, প্লীহা ও যকৃতের শক্তি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন রোগে উপকারী।
পেয়ারা : ভিটামিন ‘সি’, পেকটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অন্যতম উৎস পেয়ারা। আমলকী ছাড়া অন্যসব ফল ও শাকসবজির চেয়ে পেয়ারায় ভিটামিন সি (২১০ মি. গ্রাম) বেশি থাকে। ভিটামিন সি এর অভাব পূরণের জন্য দৈনিক ২৫ গ্রাম পেয়ারা খাওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন সি- স্কার্ভি, দাঁত, হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করে। দেহে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের বিপাকে সহায়তা করে। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দেহের ক্ষত শুকাতে সহায়তা করে। চর্বি ও কোলস্টেরল কমায়। ত্বক মসৃণ করে। চর্মজনিত রোগ সারায় ও প্রতিরোধ করে। পেয়ারা বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে। অরুচি ও অজির্ণতায় কাঁচা পেয়ারা সিদ্ধ করে চটকিয়ে বীজসহ ছাড়িয়ে ছেঁকে একটু লবণ ও চিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
বেল : পেট পরিষ্কার করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেলের শরবত উপকারী। বেল আমাশয় সারায়। বেলের শরবত হজম শক্তি বাড়ায় এবং বলবর্ধক। পাকা বেলে সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ ও পেকটিন থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বেলে প্রচুর খাদ্যশক্তি রয়েছে। বেলপাতার রস জন্ডিস ও শ্বাসকষ্টে উপকারী।
পেঁপে : পেঁপেতে বিদ্যমান পেপেইন এনজাইম প্রোটিন হজম করে। পেঁপের ফিব্রিন রক্ত জমাট বাঁধতে ও ক্ষত সারাতে সহায়তা করে। কাঁচা পেঁপের রস আলসার ও আন্ত্রিক বৈকল্য নিরাময় করে। পেঁপে খাদ্য হজমে সহায়তা করে। পেঁপে পেট ফাঁপা দূর করে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। পাকা পেঁপেতে প্রচুর ক্যারোটিন (৮১০০ মাইক্রোগ্রাম) আছে। অর্থাৎ দৈনিক একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ ১০ গ্রাম পাকা পেঁপে খেলে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণ হবে।
আমড়া : আমড়াতে প্রচুর পরিমাণ ক্যারোটিন (৮০০ মাইক্রোগ্রাম), ভিটামিন সি (৯২ মিলিগ্রাম), ক্যালসিয়াম (৫৫ মি. গ্রাম) ও খাদ্যশক্তি (৬৬ কি. ক্যালরি) আছে। দৈনিক একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ ১০০ গ্রাম আমড়া খেলে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ এর অভাব পূরণ হবে। আমরা ক্ষত সারাতে, দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করতে ও ত্বকের জন্য উপকারী।
লেবু ও কমলা লেবু : এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ আছে। লেবুর রস লবণ বা আদার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি ও জ্বর উপশম হয়। চিনি ও লেবুর শরবত ক্লান্তি দূর করে ও শক্তি জোগায়। ইহা রুচি বর্ধক।
জাম্বুরা : ইহা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। মুখের রুচি বৃদ্ধি করে। জ্বর ও সর্দিতে উপকারী। এতে প্রচুর ভিটামিন সি (১০৫ মি. গ্রাম) আছে। প্রতিদিন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৫০ গ্রাম জাম্বুরার রস খেলে ভিটামিন ‘সি’ এর অভাব পূরণ হবে এবং চর্মরোগ প্রতিরোধ হবে।
ডালিম : এর রস কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, পেটের অসুখের জন্য উপকারী। ডালিমের রস কুষ্ঠ রোগের উপশম করে। ইহা পাতলা পায়খানা, আমাশয় ও রক্তক্ষরণ বন্ধে সহায়ক।
তেঁতুল : পেটে গ্যাস, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত উপকারী। ইহা দেহের কোলেস্টেরল কমায় বলে হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী তেঁতুলে বিদ্যমান টারটারিক এসিড খাদ্য হজমে সহায়ক। মাথা ব্যথা, ধুতরা ও কচুর বিষাক্ততা এবং অ্যালকোহলের বিষাক্ততা নিরাময়ে তেঁতুলের শরবত উপকারী। ইহা অবশ অঙ্গের অনুভূতি ফিরিয়ে আনে। পুরানো তেঁতুলে কাঁশি, কোষ্ট্যবদ্ধতা, আমাশয় ও পেটের গ্যাসে উপকারী।
আতাফল : আতাফলে সব ধরনের পুষ্টি আছে। প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি (৯০ কিলোক্যালরি), ক্যালসিয়াম (১৭ মি. গ্রাম) ও আয়রন (১.৫ মি. গ্রাম.) আছে। আতা বলবর্ধক ও রক্তবর্ধক।
পাকা কলা : ইহা মেধাশক্তি বাড়ায়, হৃদরোগে ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন ডি- এমাইনোএসিড, চর্বি, কার্বোহাইড্রোট ও প্রোটিন বিপাকে সহায়তা করে। এটি লাল রক্ত কণিকা, এন্টিবডি ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড গঠনে সাহায্য করে। এটি হরমোন, নিউক্লিক এসিড, ডিএনএ ও আরএনএ গঠনে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি এর অভাবে মাংসপেশি দুর্বল, এনিমিয়া, ব্রণ, চর্মরোগ, একজিমা, এলার্জি, এজমা, স্নায়ুদুর্বলতা ও অনিদ্রা হয়। এটি খুশকি, চক্ষু নষ্ট, একজিমা ও পাঁচড়াজনিত চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।
করমচা : মুখের রুচি বৃদ্ধি করে। কাঁচা করমচার রস দেহের ত্বক ও রক্তনালী শক্ত করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ইহা কৃমিনাশকের কাজ করে।
কামরাঙ্গা : এতে প্রচুর ভিটামিন সি ও আয়রন আছে। ইহা ত্বক মসৃণ করে, ক্ষত, পাঁচড়া, ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
আমলকী : দেশের শতকরা ৯৩টি পরিবারের ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে ভুগছে। খাদ্য, শাকসবজি ও ফুলমূলের চেয়ে আমলকীতে ভিটামিন ‘সি’ বেশি থাকে। এর ভিটামিন ‘সি’ বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশে সহায়ক। যকৃৎ, পেটের পীড়া, অজির্ণ, র্সদি, কাশি, গ্যাস্টিক, জন্ডিস, মাথার-চুলপড়া, অনিন্দ্রা ইত্যদি রোগের ওষুধ তৈরিতে আমলকী ব্যবহৃত হয়। আমলকী চর্মরোগ, মুখে ঘা, দাঁত দিয়ে রক্ত পড়াসহ বিভিন্ন রোগের খুব উপকারী। খেসারি ডালের সাথে ভিটামিন সি খেলে ল্যাথারিজম হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
ডাব : দেহে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব ডাবের পানি পূরণ করে। ডায়রিয়া, কলেরা ও বমি হলে ডাবের পানির খনিজ পদার্থ দেহের ঘাটতি পূরণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কিডনি ও প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যায় উপকারী। মুখে জলবসন্তের দাগসহ বিভিন্ন ছোট ছোট দাগের জন্য সকাল বেলা ডাবের পানি দিলে মুখের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বাড়ে। গ্লুকোজ স্যালাইন হিসেবেও ডাবের পানি ব্যবহৃত হয়। কিডনি অকার্যকর হলে ডাবের পানি পান করাবেন না। কারণ কিডনি অকার্যকর হলে দেহের অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীর থেকে বের হয় না। ফলে ডাবের পানির পটাশিয়াম ও দেহের পটাশিয়াম মিলে কিডনি ও হার্ট দুটোই অকার্যকর করে। এতে রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই যাদের দেহে পটাশিয়াম প্রচুর আছে এবং বের হয় না তাদের ডাবের পানি পান করা ঠিক না। ডাবের পানি পান করানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
জামরুল : এর রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস আছে।
লটকন : এটি অম্লমধুর ফল। লটকন খেলে বমি বমিভার দূর হয় ও তৃষ্ণা নিবারণ হয়। মুখের রুচি বৃদ্ধি করে।
অরবরই : অরবরইয়ের রস যকৃৎ, পেটের পীড়া, হাঁপানি, কাঁশি, অরুচি, বহুমূত্র, অজির্ণ ও জ্বর নিরাময়ে খুব উপকারী। এই ফলের শরবত খেলে জন্ডিস, বদহজম ও কাঁশি হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
চালতা : ইহা চুলপড়া, মৃগীবাতের ব্যথা, পিত্তবড় হওয়া, সর্দি জ্বর, অজির্ণতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, খাদ্যে বিষক্রিয়া, হাতপা মচকানো, ফোঁড়া পাকানোসহ বিভিন্ন রোগের ভেষজবিদরা চালতা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
এছাড়াও জলপাই- রুচি বাড়ায়, ত্বক সমৃণ রাখে ও চর্মরোগে উপকারী, পাকা তাল- শ্লোষ্মানাশক, মূত্রবৃদ্ধি করে, প্রদাহ ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কদবেল- যকৃৎ ও হৃদপিন্ডে বলবর্ধক। পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ ভালো করে। কুল- বাতের ব্যথা, রক্ত পরিষ্কার, হজম, পেটফাঁপা ও অরুচিতে উপকারী। সফেদা- জ্বরনাশক, ত্বক ও রক্তনালী দৃঢ় করে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ডেউয়া- পিওবিকারে ও যকৃতের রোগে হিতকারী।
সব ফলেরই ভেষজগুণ রয়েছে বলেই বেশি খাওয়া যাবে না। পরিমাণ মতো খেতে হবে। অতিরিক্ত খেলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে সব ঋতুতেই বিভিন্ন স্বাদের, পুষ্টির ও ভেষজগুণের ফল পাওয়া যায়। এগুলো খেলে দেহ সুস্থ থাকে। এজন্য খনার বচনে বলা হয়েছে- বারো মাসে বারো ফল, না খেলে যায় রসাতল।
লেখক, সম্পাদক কৃষি প্রতিক্ষণ/ কৃপ্র/এম ইসলাম