কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : অতি বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে উপকূলীয় অঞ্চল পটুয়াখালী জেলার অধিকাংশ আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল। এতে দিশেহারা প্রান্তিক কৃষকেরা। অন্যদিকে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা। পাশাপাশি আমনের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল এবং শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় আশায় বুক বেঁধে দ্বিতীয়বারের মতো আমনের বীজতলা তৈরি করছেন অধিকাংশ কৃষক। জেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয় কিন্তু অতি বৃষ্টির কারণে ৭’শ হেক্টর জমিতে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সিডর, আইলা, মহাসেন ও রোয়ানুর মত ভয়াবহ দুর্যোগ বারবার ভেঙ্গে দিয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের মেরুদণ্ড। এর সাথে রয়েছে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হবার ঘটনা। এবারও অতিবৃষ্টি আর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৭’শ হেক্টর জমির ফসল। পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম মাতুব্বর জানান, ইতোমধ্যে ৫টি উপজেলায় ২’শ ৫০ কেজি বীজ ধান বিতরণ করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে আমনের বীজতলা রক্ষা করতে বেড়িবাঁধগুলো টেকসই ও বর্ষা মৌসুমে বিকল্প চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করলে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব বলে মনে করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.আবুল কাসেম চৌধুরী।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম