খালিদ আহমেদঃ বন্যার কারণে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার গবাদিপশু নিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন প্রায় ৫ শতাধিক খামারি। ফলে দেশের প্রধান দুগ্ধ উৎপাদনকারী এলাকাখ্যাত শাহজাদপুরে গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে গো-চারণ ভূমি তলিয়ে থাকায় কাঁচা ঘাস পাচ্ছেন না খামারিরা। ফলে শুকনো খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের। এতে দুধ উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোকসানের মধ্যে পড়েছেন খামার মালিকরা। তবে গো-খাদ্যের সংকট মোকাবেলার জন্য খামারিদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে দাবি মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষের।
১৯৭৩ সালে সমবায় ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখানে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। এখানকার গবাদি পশুগুলো সারা বছরই খামার সংলগ্ন গো-চরণ ভূমিতে রাখা হলেও চলতি বছর বন্যার পানি বাড়ায় গবাদিপশু গুলোকে খামারে রাখা হয়েছে জুন মাস থেকেই। এই দীর্ঘ সময় সবুজ ঘাস পানিতে তলিয়ে থাকায় ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে গো-খাদ্যের দাম। খামারিদের অভিযোগ, শুকনো খড় ও প্যাকেট জাত খাবার খাওয়ানোতে কমে গেছে দুধের উৎপাদন। আর অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের।
তবে বন্যায় গো-খাদ্যের সংকট মোকাবেলায় মিল্ক ভিটার পক্ষ থেকে খামারিদের কে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন সিরাজগঞ্জের মিল্কভিটার সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ লাভলু। অন্যদিকে কাঁচা ঘাস না খাওয়ালে গরুর দুধ উৎপাদন কমে যাবে, তবে গবাদি পশুর পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানালেন জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম