কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহী জেলায় বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বেকার সমস্যার সমাধান এবং কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে। রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর, মারিয়া, বালানগর, ভবানীপুর ও কয়রা এলাকার ২০৫ একর জমিতে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। এতে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা হবে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি ন্যায্যমূল্যে কেনা যাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আতাউল গনি জানান, ২০১৯ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও গড়ে তোলা হবে। এই সময়ের মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। তিনি জানান, মূলতঃ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বৈদেশিক বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থনৈতিক অঞ্চল কমিটি প্রকল্প এলাকা নির্বাচনের কাজ শেষ করেছে। এর আলোকে জেলা প্রশাসন ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প এলাকা নির্বাচনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আরসিসিআই) সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবশ্যই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়া অনেক বিনিয়োগকারীকে শিল্প স্থাপনে আগ্রহী করবে। তিনি জানান, এতে স্থানীয় উদ্যোক্তা ছাড়াও বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে। এ ব্যাপারে অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারী যোগাযোগ করেছেন। চেম্বার নেতা বলেন, স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। এই উদ্যোগ এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। তিনি জানান, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষুদ্র প্রকৌশল ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গড়ে তোলার জন্য কর্তৃপক্ষকে আরসিসিআই অনুরোধ জানিয়েছে। এতে মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের জন্যও তারা দাবি জানিয়েছেন।
চেম্বার নেতা মনিরুজ্জামান মনি জানান, উত্তরাঞ্চলে খাদ্যশস্য, ফল ও সবজির উদ্বৃত্ত ফলনের কারণে এখানে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবসার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যে কোন স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করলে মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদ্চ্ছিা বড় বিষয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিরাজমান সম্পদ ব্যবহার করে রাজশাহীর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী। সাবেক মেয়র রাজশাহীর নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম