কৃষি প্রতিক্ষণ নড়াইলঃ পাটের মূল্য ভালো পাওয়ায় নড়াইলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে। পাট কাটা, পঁচানো, আঁশ ছাড়ানো, রোদে শুকানো, হাটে বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের তিনটি উপজেলায় এ বছর পাট আবাদ হয়েছে তোষা ২০ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে। পাট উৎপাদন হবে ২ লাখ ২ হাজার ৪৫৯ বেল। দেশি পাট ৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে উৎপাদন হবে ৪৬ বেল বলে কৃষি বিভাগ ধারণা করছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় তোষা পাট ৬ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে ৭৩ হাজার ৯৭৫ বেল, লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হাজার ৯৮৯ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭৯ বেল এবং কালিয়া উপজেলায় ২ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে ২৯ হাজার ২০৫ বেল পাট উৎপাদন হবে।
এ ছাড়া দেশিপাট সদর উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে ৪৬ বেল পাট উৎপাদন হবে। পাটের বীজ বপনের মৌসুমে কৃষকরা সময় মতো ভালো বীজ, সার, ওষুধসহ পাট চাষের উপযুক্ত আবহওয়া থাকায় এ বছর পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান কৃষকরা। বেনাডোব গ্রামের কৃষক কানাই বিশ্বাস জানান, ‘আমি ২ একর জমিতে পাটের চাষ করেছি, ফলন হয়েছে অনেক ভালো। কিছু পাট বিক্রি করেছি এক হাজার ৬শ’ টাকা করে মণ। পাটের ফলন ভাল হয়েছে জানিয়ে সদর উপজেলার কৃষক ইশারত শেখ বলেন, বর্তমানে পাটের যে মূল্য ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা করে বিক্রি হচ্ছেÑ এতে আমরা খুশি। পাট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান জানান, কৃষকদের কাছ থেকে আমরা প্রতিমণ পাট ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা পর্যন্তু দরে ক্রয় করছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক জানান, জেলায় এবছর পাট আবাদ হয়েছে তোষা পাট ২০ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে এবং দেশি পাটের আবাদ হয়েছে ৫ হেক্টর জমিতে ।