বেড়িবাঁধ না থাকা ও নদীর ভয়াবহ ভাঙনে রাস্তা-ঘাট বিলীন হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে উপজেলার ৮নং দক্ষিণ ও ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন এবং চরআবাবিল ইউনিয়নের চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের (সিআইপি) বেড়িবাঁধের বাহিরে টুনুরচর, চরকাছিয়া, চরঘাসিয়া, চরইন্দুরিয়া, চরলক্ষ্মী, কানিবগার চর ও চরআবাবিল গ্রামে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ সব চরের কৃষক ও দিনমজুর পরিবারগুলো স্থানীয় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই নৌকাসহ বিভিন্ন উপায়ে চরম দুর্ভোগে বসবাস করলেও সরকারি কোনো সহায়তা পাননি বলে জানান।
রায়পুরের ১নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ছালে মিন্টু ফরাজি জানান, তার ইউনিয়নসহ আরও দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ জোয়ারের কাছে অসহায়। বেড়িবাঁধ না থাকায় তার ইউনিয়নের টুনুরচরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের জোয়ার-ভাটার হিসেবে জীবন চলে। জোয়ারের পানিতে এখানকার মানুষ পানিবন্দি থাকে। এতে দরিদ্র পরিবারের লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাদের নিয়মিত কাঁচা বসতঘর ও রাস্তাগুলো ভেঙে গেছে। ২টি স্কুল ভবনে পানি উঠে গেছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।