কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টমেটোর মতো দেখতে নতুন সবজির চাষ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। টমাটিলো নামক এই সবজি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও ডায়রিয়া প্রতিরোধে কাজ করবে। বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকায় টমাটিলোতে রোগজীবাণু ও পোকামাকড়ের আক্রমন কম হয়।
ফোসকা বেগুনোর মতো দেখতে টমাটিলো আমাদের দেশীয় টমেটোর সোলানেসি গোত্রের একটি সবজি। যায় বৈজ্ঞানিক নাম Physalis ixocarpa (ফাইসালিস ইক্সকারপা )। এই জাতটি কয়েক রকমের হতে পারে। এদের রং সবুজ, হলুদ ও বেগুনী হয়ে থাকে। টমাটিলো গাছের পাতা অনেটা মরিচ গাছের পাতার মতো। ফলের ভেতরটা মাংসল ও বীজ গুলো টমেটোর চেয়ে ছোট। ফলের ভেতরটা ভরাট হওয়ায় এর ওজন টমেটোর চেয়ে বেশি হয়। টমেটোর স্বাদের সঙ্গে এর বেশ কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। এর বৃতিটা বড় হয়ে পুরো ফলকে আবৃত করে রাখে। ফলে পোকা ও পাখি খেতে পারে না এবং রোগের আক্রমণও অনেক কম হয়। এতে করে এর ফলন বেড়ে যায়। পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কোনো কীটনাশক ব্যবহার না করার এটির চাষ পরিবেশবান্ধব।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অধ্যাপক ড. নাহিদ জেবা জানান, এ সবজিতে রয়েছে উচ্চ পেকটিন। যেটি গ্লুকোজ শোষণ করে এবং রক্তের নিম্ন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্ত চাপ রয়েছে, তাদের জন্যে এটি উপকারী একটি সবজি। এর মধ্যে ফ্ল্যাভিনয়েড থাকায় এটি লাং ও মুখ গহ্বরের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি দ্রবীভূত ডাইয়েটারী ফাইবার হিসেবে কাজ করে। যা মানুষের পরিপাকে ভূমিকা রাখে এবং ডায়রিয়া প্রতিরোধে কাজ করে।
তিনি আরো জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশে প্রথম এ টমাটিলো নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। দেশীয় টমেটোর চেয়ে একমাস আগে এর ফুল ধরা শুরু হয়। কাজেই অল্প সময়ের মধ্যেই ফসল সংগ্রহ করা যাবে। আর এটির ফলন হচ্ছে হেক্টর প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টন। জন্মস্থান মেক্সিকোতে এটির ফলন হচ্ছে হেক্টর প্রতি প্রায় ২৫ টন। আমাদের দেশের পরিবেশের সঙ্গে এটি মানিয়ে নিতে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম