কৃষি প্রতিক্ষণ ঢাকাঃ পাট ক্রয়ে যথাযত মান বজায় রাখতে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনকে (বিজেএমসি) পরামর্শ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। গতকাল রাজধানীর দিলকুশায় বিজেএমসি কার্যালয়ে পাটকলগুলোর প্রকল্প প্রধান, পাট ব্যবস্থাপক এবং হিসাব ব্যবস্থাপকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা পরামর্শ দেন। মতবিনিময় সভার বিষয়বস্তু ছিলো- উৎপাদন, পাটক্রয় ও সার্বিক বিষয়। তিনি বলেন, বেল আকারে পাট কিনলে গুণগত মান অটুট থাকে। আগে খোলা আকারে পাট কেনা হতো, তাতে গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ থাকতো।তাই বেল আকারে পাট কিনতে হবে, যেন গুণগত মানের ব্যত্যয় না ঘটে। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার, বাংলাদেশ জুটমিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ কে নাজমুজ্জামান,বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো.মতিউর রহমানসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আজম বলেন, এখন থেকে বেল আকারে পাট কিনতে হবে। আগে খোলা ভাবে পাট কেনা হতো। এতে ভালো মানের পাটের মধ্যে খারাপ মানের পাট ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। এতে গুণগত মানের পাট সংগ্রহ নিয়ে সন্দেহ থাকতো। তাই বেল আকারে পাট কিনলে গুণগত মানে নিয়ে কোনো সংশয় থাকবে না। একই সঙ্গে পাট ক্রয়ে কোনো অনিয়ম আর সহ্য করা হবে না। পাট প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবছর থেকে পাটকলগুলোতে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। যাতে বছর শেষে মিলগুলোর কী পরিমাণ সম্পদ আছে বা কি কি সম্পদ নষ্ট হচ্ছে বা কী পরিমান পাট মজুদ আছে তা জানা যাবে। আগে মিলগুলোর সম্পদের পরিমাণ পরিপূর্ণভাবে জানা সম্ভব হতো না। এ জন্য পাটকলগুলোতে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন চালু করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে প্রত্যেক পাটকলকে অর্থ-বছর শেষে আলাদা আলাদা ভাবে তার লাভ-লোকসানের হিসাব বিজেএমসিতে জমা দিতে হবে। এ কাজটা আগে বিজেএমসি সামগ্রিক ভাবে করত। এতে কোন মিলের পারফরমেন্স কেমন তা সুনির্দিষ্টভাবে বোঝা যাবে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিজেএমসির পাট ক্রয় কেন্দ্র ১৮০টি থেকে ৫৬টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। বিজেএমসির লোকসান কমাতে সবার সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগে পাট ক্রয় কেন্দ্র বেশি থাকার কারণে সঠিকভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হতো না। এ কারণে তা কমিয়ে আনা হয়েছে।পাশপাশি পাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সকল অনিয়ম হ্রাস করা সম্ভব হবে।