কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : দেশে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এর সাথে বন্যা উদ্রত এলাকায় বাড়ছে পানিবাহিত রোগ, চর্ম রোগ ও ডাইরিয়া। কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬ নদ-নদীতে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। প্রায় অর্ধশত পরিবার ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বন্যার অবসান হলেও নানা ধরণের পানিবাহিত রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে নতুনভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসিরা। এদিকে, বন্যার পানিতে ডুবে হোসেন নামে দেড় বছর বয়সী আরও এক শিশু মারা গেছে। চলতি বছর উপর্যুপরি তিন দফা বন্যার শিকার কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র মানুষ। এরমধ্যে তৃতীয় দফার বন্যা ছিল ভয়াবহ। প্রায় তিন সপ্তাহ স্থায়ী এই বন্যায় জেলার অর্ধেক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়। তবে এখন বন্যা পরিস্থিতির অবসান হয়েছে। পানি সরে গেলেও কর্দমাক্ত হয়ে আছে বাড়িঘর। খানাখন্দ তৈরি হয়ে জমে আছে পানি। সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধময় পরিবেশ। এর ফলে হাত-পায়ে ঘা, চুলকানি, ফোস্কা, জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের। তবে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলামের দাবি, ৮৫টি মেডিকেল দল মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদানসহ রোগব্যাধি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে।
গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় দফা বন্যায় ৯ উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়নের দ্বীপচর, নদ-নদী তীরবর্তী চরসহ নিম্নাঞ্চলের ৭’শ ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় দেড় লক্ষাধিক পরিবারের সোয়া ৬ লাখের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়। ঝালকাঠিতে সুগন্ধা, বিষখালী ও বাসন্ডা নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে বইছে। পানির নিচে রয়েছে বিস্তৃর্ণ ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘের সহ জেলার নদী তীরবর্তী প্রায় ২০টি গ্রাম। গভীর নলকূপগুলো তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি অনেক পরিবারই খাওয়ার পানির সংকটে ভুগছেন। গত কয়েক দিন যাবত কমতে থাকায় আজ ফরিদপুরের পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ৩টি নদ-নদীতে। দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকলেও তা প্রয়োজনীয় তুলনায় স্বল্প।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম