কৃষি প্রতিক্ষন রিপোর্ট : কাঁচাপাট ক্রয়ব্যবস্থার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার । এর আওতায় সরকারি কাঁচাপাট ক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮২ থেকে ৫৬ তে নামিয়ে এনেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে পাটকলগুলোতে খোলা পাট প্রবেশেও। সরকার নিয়ন্ত্রিত বিজেএমসি বলছে, যথাসময়ে অর্থবরাদ্দ পাওয়ায় চলতি বছর লোকসান কমাতে সফল হবেন তারা। যদিও সংস্থাটির এমন বক্তব্যে আস্থা নেই অর্থনীতিবিদদের, পাট ক্রয়ের সময় সঠিক ওজন আর মান নিয়ন্ত্রণেরও পরামর্শ তাদের।
নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের পাটশিল্প, সেই সঙ্গে লোকসানের গণ্ডিতে আটকা পড়েই আছে সরকার নিয়ন্ত্রিত পাটকলগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিজেএমসিও। গেল এক দশকে সংস্থাটির অধীনস্থ ২৬ টি পাটকলের কোনটিই দেখাতে পারেনি সন্তোষজনক অগ্রগতি। এমনকি পাটক্রয়ের জন্য প্রতি অর্থবছরে দেয়া বরাদ্দের অধিকাংশই গেছে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতায়। অবস্থা পরিবর্তনে, চলতি অর্থবছরে বেশ আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। বহুবছর ধরে চালু থাকা প্রায় দুইশতাধিক সরকারি ক্রয়কেন্দ্র কমিয়ে এবছর ৫৬ তে নামিয়ে এনেছে মন্ত্রণালয়, পাশাপাশি এবারই প্রথম শুরু হয়েছে মিলগুলোতে বেল হিসেবে পাট ক্রয় প্রক্রিয়া।
বিজেএমসি বলছে, সরকারি পাটকলগুলোর সমস্যা দীর্ঘদিনের রাতারাতি তা সমাধান অসম্ভব। তবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আলাদাভাবে তা সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের, পাশাপাশি পাট ক্রয়ের সময় সঠিক ওজন আর মান নিয়ন্ত্রণেরও তাগিদ তাদের। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিজেএমসিকে ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকা দেয় সরকার, পরের বছর যার পরিমাণ ছিলো ১ হাজার ১’শ ২১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ ১ হাজার ৩’শ ৬৯ কোটি টাকা, যদিও এবারই প্রথম বরাদ্দের বাইরে শুধুমাত্র কাঁচাপাট কেনার জন্য আলাদাভাবে ২’শ ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সংস্থাটিকে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম