কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের মাঝদিয়ে প্রবাহিত কালিগঙ্গা নদীর ভাঙনের ঘরছাড়া হয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। কালিগঙ্গা নদী গিলে নিয়েছে ওইসব পরিবারের ভিটেবাড়ি। বন্যায় শোল্লা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। সেখানকার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। খবর ইত্তেফাক।
নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অসহায় মানুষ। বিশেষ করে গত দু’দিনে ইউনিয়নের চকোরিয়া, খতিয়া ও কোন্ডা এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এবার বন্যায় চকোরিয়া, খতিয়া ও কোন্ডা এলাকার তিন শতাধিক বসতবাড়ি ইতিমধ্যে চলে গেছে কালিগঙ্গা নদীগর্ভে। এছাড়া ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরো পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, চকোরিয়া চরবাড়ি সরকারি প্রাথমিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন সময় নানা ধরনের আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
অন্যদিক প্রতিদিন স্থানীয়দের নিঃস্ব করে বসতবাড়িসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে কালিগঙ্গা নদী। স্থানীয় কৃষক তুলা মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, আমার ১৩ শতাংশ জমির উপর বসতবাড়ি ছিলো। সব ভেঙে কালিগঙ্গা নদীতে চলে গেছে। এখন অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করছি। ভাঙন এলাকার মানুষের পাশে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা সব সময় আছে, থাকবে।