কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরা ফলগুলোর মধ্যে কাঁচা পেঁপে অন্যতম। সহজপাচ্য, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও সারা বছর সব জায়গায় পাওয়া যায় বলে সবজি ও ফল হিসেবে পেঁপের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। তাই বেশির ভাগ মানুষের খাদ্য তালিকায় স্থান পায় এই ফল। তবে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলটি রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।
অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা অনায়াসে খেতে পারেন এ ফল। এছাড়াও এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আছে যা শরীরের জন্য অনেক বেশি দরকারী।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনের পেঁপের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জাদুকরী গুণের কথা জানা গেছে। যেগুলো—
ত্বকের সমস্যা ও ক্ষত দূর করে
পেঁপেতে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ ব্রণ ও ত্বকের যে কোন ধরনের সংক্রামক থেকে রক্ষা করে। এমনকি এটি ত্বকের ছিদ্র মুখগুলো খুলে দেয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা পেঁপে ত্বকের মরা কোষগুলোকে পুনজ্জ্বীবিত করে তুলতে সাহায্য করে।
ব্যথা নিরাময় করে
পেঁপের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারী। কারণ এটি নারীদের যে কোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পেঁপের পাতা, তেঁতুল ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে খেলে ব্যথা একেবারে ভালো হয়ে যায়।
অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে
পেঁপের বীজে আছে অ্যান্টি- অ্যামোবিক ও অ্যান্টি-প্যারাসিটিক বৈশিষ্ট্য যা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিড রিফ্লাক্স, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অন্ত্রের সমস্যা, পেটের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়
এটি ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর সোডিয়ামের পরিমাণকেও কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। একারণেই হৃদরোগীদের সবসময় পেঁপে খেতে বলা হয়।
অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বি কমিয়ে দেয়
পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই ও এ। এগুলো ১০০ গ্রামে মাত্র ৩৯ ক্যালোরি দেয়। এছাড়া এতে বিদ্যমান অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
এক কথায়, পেপের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করার মতো নয়। তাই বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচতে দৈনন্দিন জীবনে বেশি করে পেঁপে খেতে হবে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম