কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ভারত থেকে বানের পানিতে ভেসে আসা হাতিটিকে যা বঙ্গবাহাদুর নামে পরিচিতি পেয়েছে। ট্রাঙ্কুইলাইজারগানের মাধ্যমে ফের চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করার পর কিছুক্ষণ ছুটোছুটির পর ঝিমিয়ে পড়েছে বঙ্গবাহাদুর। এই সুযোগে হাতির পায়ে শিকল-রশি পরানো হয়েছে। আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাতিটিকে দ্বিতীয় দফায় প্রথম চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু ওষুধের মাত্রা কম হওয়ায় হাতিটির অচেতন হতে বিলম্ব হচ্ছিল। পরে আরও তিনবার চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কয়ড়া গ্রামের জলাশয় থেকে সকাল সাতটার দিকে হাতিটি ডাঙায় ওঠে। সকালে প্রথমবার চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করলে হাতিটি গ্রামের খোলা জায়গায় ছুটোছুটি করতে থাকে। আরও কয়েকবার আবার চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করার পর হাতিটি ঝিমিয়ে পড়ে। বন অধিদপ্তর ঢাকার সাবেক উপপ্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, হাতির শরীরে চেতনা ফেরানোর ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। হাতিটি এখন শঙ্কামুক্ত আছে। সুস্থ আছে।
গত ২৮ জুন হাতিটি রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। এরপর বগুড়ার সারিয়াকান্দি হয়ে পানিতে ভেসে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার দুর্গম চরে যায় গত ১৮ জুলাই। ২৭ জুলাই হাতিটি সরিষাবাড়ী আসে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতিটিকে ট্রাঙ্কুইলাইজারগান দিয়ে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। চেতনা হারানোর আগ মুহূর্তে কয়ড়া গ্রামের এক বাড়ির পাশের জলাশয়ে ঝাঁপ দেয় হাতিটি।